কক্সবাজারের টেকনাফের নিখোঁজ পাঁচদিন পর সৈয়দ মিয়া (২৮) নামে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মরদেহের মুখে স্কচটেপ ও হাতের চারটি আঙ্গুল কাঁটা ছিল বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) রাতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রুদ্র। এর আগে বিকেলে টেকনাফের হোয়াইক্যং ১ নম্বর ওয়ার্ড চাকমারকুল এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
নিহত ছৈয়দ টেকনাফের হোয়াইক্যং ১ নম্বর ওয়ার্ড কেরুনতলী গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি পেশায় একজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক।
ছৈয়দের স্ত্রী রোকসানা জাহান বলেন, গত শুক্রবার সন্ধ্যার পর উখিয়ার পালংখালি দশঘরিয়া পাড়ার একজন আমার স্বামীকে সন্ধ্যার দিকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে যায়। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজ ৬ দিন পর আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরের দিকে হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল এলাকার একটি চাষের জমিতে মাটিতে পুঁতে রাখা অবস্থায় তার মরদেহ পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, আমার স্বামী ছৈয়দ মিয়ার মরদেহ মাটি থেকে তোলার পর দেখা যায় তার দুই হাতের চারটি আঙুল কেটে ফেলা হয়েছে এবং মুখে টেপ পেঁচানো ছিল।
হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই খোকন কান্তি রুদ্র বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার বিকেলে হোয়াইক্যংয়ের চাকমারকুল এলাকা থেকে মাটিতে পুঁতে রাখা একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মরদেহ উদ্ধারের পর সুরতহাল সম্পন্ন করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এসময় ঘটনাস্থলে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন পিবিআই এর একটি টিম উপস্থিত ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

