মঙ্গলবার,

১৫ জুলাই ২০২৫,

৩০ আষাঢ় ১৪৩২

মঙ্গলবার,

১৫ জুলাই ২০২৫,

৩০ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

দৈনন্দিন কাজের চাপে সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখবেন কিভাবে?

রেডিও টুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৬ নভেম্বর ২০২২

আপডেট: ০৪:৩০, ১৬ নভেম্বর ২০২২

Google News
দৈনন্দিন কাজের চাপে সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় রাখবেন কিভাবে?

ফাইল ছবি

দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যা ও অফিসের অতিরিক্ত কাজের চাপ শুধু শরীর নয়, ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে দাম্পত্য জীবনেও। কাজের চাপে সম্পর্কের টানাপোড়েন তৈরি হলে বেড়ে যেতে থাকে মানসিক সমস্যাও। যার ফলে বাড়তে থাকে দাম্পত্য সম্পর্কের টানাপোড়েন। এই সমস্ত ঝামেলাকে উপেক্ষা করে কিভাবে সম্পর্কের উষ্ণতা বজায় থাকবে? আজকে রইল তেমনি কয়েকটি কৌশল:

মন খুলে কথা বলুন

অফিসের কাজের চাপ আপনার মনের উপরে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে তা নিয়ে সরাসরি কথা বলেন সঙ্গীর সাথে। একে অন্যের কাছে এসে জানান মানসিক টানা পোড়েনের অবস্থা।  সম্পর্ক শীতল হয়ে গেলেও মনে রাখতে হবে যে কোন কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হলে সমস্যার সম্পর্কে দুজনকেই অবহিত হতে হবে। তাই মন ভালো না লাগলেও সঙ্গীকে সমস্ত বিষয় সম্পর্কে জানানো জরুরী।

জায়গা দেওয়ার পাশাপাশি জায়গা নিন

একসঙ্গে থাকবো বলেই যে ব্যক্তি মানুষের কোন নিজস্ব জায়গা থাকতে পারে না তা কিন্তু নয়। তাই কারোরই উচিত নয় সংগীর সবকিছুতে ভাগ বসানো। সব বিষয়ে কথা বলতে গেলে একটা সময় সম্পর্কই দম বন্ধ হয়ে যেতে পারে । নিজেও কিছুটা জায়গা নিন সঙ্গীকেও কিছুটা জায়গা দিন।

নিজের জন্য কিছুটা সময় বের করুন

দৈনন্দিন জীবনে দিনের নানারকম কাজের ফাঁকে কিছুটা সময় নিজের জন্য বের করে নিন। এই সময়টা শুধুমাত্র আপনার একান্তই। ওই সময়ে নিজের যা কিছু করতে ভালো লাগে সেই কাজটি করুন। যেমন খেলা দেখা, গান শোনা, ছবি আঁকা বা ঘুমিয়ে নেন কিছুক্ষণ। নিজেকে ভালো রাখতে যা করতে ভালো লাগছে সেটাই করুন। দেখবেন বাকি সময়টা সঙ্গীর সঙ্গে কাটানো অনেক সুন্দর ও সহজ হয়ে উঠবে।

যৌনতা নিয়ে লুকোচুরি নয়

দাম্পত্য জীবনে সুখী হতে হলে তার একটি বড় দিক হলো সুখী যৌন জীবন। কাজের চাপে অথবা নানা রকম সমস্যায় অনেক সময় কাছাকাছি আসতে পারেন না দুজনের কেউই। সারাদিন কর্মক্ষেত্রে ব্যস্ততার পর বাড়ি ফিরে নতুন করে খুঁজে দেখার চেষ্টা করুন একে অন্যকে। তবে এক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে সঙ্গীর চাহিদা আর আপনার ইচ্ছের মধ্যে যেন ভারসাম্য বজায় থাকে।

নতুন করে পাবার জন্য

দীর্ঘদিন দাম্পত্য জীবন অতিবাহিত করার পর অনেক সময় একঘেয়েমি আসতে পারে। তাই নিজেদেরকে নতুন করে আবিষ্কার করার প্রয়োজন পড়ে। ব্যস্ততার মধ্যেই সন্তানের পড়াশোনা তে একসঙ্গে সাহায্য করা যেতে পারে, হাত মিলিয়ে রাতের খাবার তৈরি করা যেতে পারে। এছাড়াও ছোটখাটো  অনেক কাজ হয়ে উঠতে পারে ভালবাসার মরুদ্যান।

এস আর

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের