রোববার,

১০ ডিসেম্বর ২০২৩,

২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

রোববার,

১০ ডিসেম্বর ২০২৩,

২৫ অগ্রাহায়ণ ১৪৩০

Radio Today News

মরণোত্তর ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’ পেলেন বেবী মওদুদ

প্রকাশিত: ১৮:৩৮, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

Google News
মরণোত্তর ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’ পেলেন বেবী মওদুদ

বিশিষ্ট সাংবাদিক,লেখক ও রাজনীতিবিদ এ এন মাহফুজা খাতুন বেবী মওদুদকে এবছর ‘বঙ্গবন্ধু স্বর্ণপদক’ (মরণোত্তর) দেয়া হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে স্বর্ণপদক গ্রহণ করেন বেবী মওদুদের জ্যেষ্ঠ পুত্র রবিউল হাসান অভী।

বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব স্বর্ণপদক ২০২৩' প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রিসার্চ ইনস্টিটিউট ফর পিস অ্যান্ড লিবার্টির উদ্যোগে প্রথমবারের মতো এই স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। 

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মণি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার লেখক হয়ে উঠার পেছনে বেবী মওদুদের একটা অবদান আছে। শেখ হাসিনাকে বারবার তাগাদা দিয়ে লেখা আদায় করা সে কাজগুলো বেবী আপা (বেবী মওদুদ) করেছেন। সেজন্যই আমরা লেখক শেখ হাসিনাকে পেয়েছি।

বেবী মওদুদের স্মৃতিচারণ করে ডা. দীপু মণি বলেন, সেসময় নেত্রীর মুক্তির জন্যও কাজ করে গেছেন বেবী মওদুদ। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে যে গণআদালত গঠিত হয়েছিল সেখানেও তিনি ভূমিকা রেখেছিলেন। আমাদের আন্দোলন সংগ্রাম, আমাদের সবকিছুতে তিনি নিজেও যেমন ছিলেন তেমনি সহযোগী হিসেবেও সবসময় ছিলেন। 

এসময় পুরষ্কার সন্মাননা প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যিনি চলে গেছেন তার জন্য (সন্মাননা) আজকে দেওয়া কাল দেওয়া তিন বছর পরে দেওয়া খুব বেশি তফাৎ কিন্তু নেই। কিন্তু যিনি বেঁচে আছেন তাকে এবছর না দিলে আগামীবছর কিন্তু মরণোত্তর  দিতে হতে পারে। যে মানুষটি অনেক অবদান রেখে যান আমাদের সমাজে তাকে বেঁচে থাকতেই সন্মাননা দিলে তিনি দেখে যেতে পারবেন। সন্মাননা দেয়ার সময় এ বিষয়টি খেয়াল রাখার আহবান জানান দীপু মণি।

বাংলাদেশের সব অর্জন, সব প্রাপ্তি শেখ হাসিনার হাত ধরে উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী আরো বলেন, শেখ হাসিনা শুধু ২০০৮ সালে '২১ সালের পরিকল্পনা করেন না, বরং তিনি ২০২১ এর আগেই ২০৪১ এর রূপকল্প তৈরি করেন, তৈরি করেন ২১০০ সালের বদ্বীপ পরিকল্পনা।

ঢাবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন- বেবী মওদুদ বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, দর্শন ও মূল্যবোধ লেখনীর মাধ্যমে সকলের কাছে তুলে ধরতে অনন্য ভূমিকা পালন করেছেন। এই ধরণের আয়োজনের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম অনুপ্রাণিত হয়ে বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে গবেষণায় উদ্বুদ্ধ হবে বলে তিনি আশা ব্যক্ত করেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ।

রেডিওটুডে নিউজ/মুনিয়া

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের