
কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না উল্লেখ করে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, ‘সামাজিক নিরাপত্তায় আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য স্থানীয় সরকার এবং গণপ্রতিনিধিত্ব বা জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই। একই সঙ্গে স্থানীয় উন্নয়নের জন্য স্থানীয়দের সঙ্গে পরামর্শ করা না হলে এর সুফল পাওয়া যায় না। বড়এ ক্ষেত্রেও সুফল জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধির বিকল্প নেই। সাংস্কৃতিক দিক দিয়ে একটা সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য যেসব সংস্কার প্রয়োজন শুধু সেটুকু করেই নির্বাচন দেওয়া হবে।’
সোমবার (১৯) বিকেলে বরিশাল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে এক মতবিনিময়সভায় তিনি এসব কথা বলেন। বরিশাল মহানগরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সর্ম্পকে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে তিনি এই মতবিনিময়সভা করেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘অনেক বড় প্রকল্প আছে, যা গিলতে পারছি না, আবার ফেলতেও পারছি না। ৫০ কোটি টাকার কম কোনো প্রকল্প দিলে তাৎক্ষণিক অনুমোদন ও বাস্তবায়ন করা যাবে। তবে বড় কোনো প্রকল্প নেওয়া হবে না।’
ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আরেও বলেন, ‘মাতারবাড়ী প্রকল্প ছাড়া মাঝারি প্রকল্পের আওতায় ফরিদপুর-বরিশাল-কুয়াকাটা ছয় লেন প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে। গাছ কাটা ঘরবাড়ির ক্ষতি না করেই এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে।’
সামাজিক নিরাপত্তা বরাদ্দের সুবিধাভোগীদের অর্ধেক রাজনৈতিক বিবেচনার দেওয়া হয়েছে। এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, এটা না হলে উপকাভেগীরা বেশি সুবিধা পেত। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত প্রকল্প অর্থায়ন নিয়ে বরিশালে অনিয়ম রয়েছে।
উপদেষ্টা বলেন, ভোলার গ্যাস সম্ভাবনা থাকলেও তা উত্তোলন ও ব্যবহার করা যাচ্ছ না। গ্যাস এই অঞ্চলের জন্য ব্যবহার করতে পারলে শিল্প গড়ে ওঠা সম্ভব। শষ্য ভাণ্ডার বরিশালকে ফিরিয়ে আনতে খালগুলো সংস্কার ও সংরক্ষণে গুরুত্ব দেন।
তিনি আরও বলেন, ভোলা-বরিশাল লক্ষ্মীপুর সেতু নির্মাণের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যেই নকশাও তৈরি করার কাজ শুরু হয়েছে। বরিশালে হাব তৈরি করা হবে। ইকোনমিক জোন হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম