
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আমরা আজ একটি জায়গায় এসে দাঁড়িয়েছি। সকলে মিলে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দেশটাকে গড়তে হবে। আমাদের মাঝে বিভিন্ন বিষয়ে মতপার্থক্য থাকতেই পারে। গণতন্ত্রে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশকে আন্তর্জাতিকভাবে এগিয়ে নেওয়া, দেশের মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে।
যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় রোববার (১৮ মে) পশ্চিম লন্ডনের একটি পাঁচ তারকা হোটেলে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০২৫ এর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, আমরা সরকারের কাছে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছি। এই নির্বাচনের জন্য আমাদের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। গুম হয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে। এটি মানুষের রাজনৈতিক অধিকার। আমরা এর মাধ্যমে এমন একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠান করতে চাই। যে সরকার মানুষের রাজনৈতিক কল্যাণে কাজ করবে।
এ সময় দেশের সব বিভাগে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের সব বিভাগে একটি করে ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা বিকেএসপি প্রতিষ্ঠা করা হবে। প্রয়োজনে খেলোয়াড় তৈরি করতে সিলেবাসে পরিবর্তন আনা হবে।
তারেক রহমান বলেন, বর্তমানে দেশের চারটি বিভাগে বিকেএসপি রয়েছে। আমরা সরকার গঠন করলে প্রথমে সব বিভাগে একটি করে বিকেএসপি করব। যাতে ভালোমানের খেলোয়াড় তৈরি হয়। আর যারা খেলাধুলার মাধ্যমে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশকে রি-প্রেজেন্ট করবে তাদের দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র নেবে।
তিনি বলেন, আমরা ঢাকা শহরে ওয়ার্ড ভিত্তিক খেলার মাঠ গঠন করার পরিকল্পনা নিতে পারি। অন্তত দুটি ওয়ার্ডের মাঝখানে যদি তিন থেকে চার বিঘা জমি বের করা যায়, সেখানে মাঠ করা হবে। বাচ্চারা খেলবে, মুরুব্বিরা হাঁটবে। অর্থাৎ মানুষ সেখানে বুক ভরে শ্বাস নিতে পারবে। ঠিক এমন একটি চিন্তা আমাদের আছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা স্কুলের সিলেবাস ঢেলে সাজাতে চাই। সেখানে খেলাধুলা ও দ্বিতীয় বা তৃতীয় ভাষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে। এজন্য পরীক্ষায় আলাদাভাবে নম্বর থাকবে। তার মানে খেলাধুলা তাকে করতেই হবে। আমরা এটা অন্তর্ভুক্ত করে দেব।
খেলাধুলার মান উন্নয়নে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, আন্তর্জাতিকভাবে যারা দেশকে রিপ্রেজেন্ট করতে তাদের সম্পূর্ণ দায়-দায়িত্ব রাষ্ট্র বহন করবে। খেলোয়াড় তৈরির জন্য ভবিষ্যতে দেশে বিকেএসপির সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে।
ছোট ভাই প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোকে স্মরণ করতে গিয়ে তারেক রহমান বলেন, বড় ভাই হিসেবে ছোট ভাইকে নিয়ে গর্ব করার জন্য যা যা থাকা দরকার কোকোর মধ্যে তার সবই উপস্থিত ছিল।
আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্টের শরফরাজ আহেমদ শরফুর সঞ্চালনায় ও আবু নাসের শেখের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আরও বক্তব্য দেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবীর, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, বগুড়া জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি মীর শাহে আলম, বগুড়ার বিএনপির সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সহ-সম্পাদক আনিসুর রহমান খোকন তালুকদার, ড্যাবের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব ডা. সরকার মাহমুদ আহমেদ শামীম প্রমুখ।
এ অনুষ্ঠানের আয়োজকরা হলেন, ফজলে রহমান (পিনাক), শেখ সাদেক, ডালিয়া বিনতে লাকুরিয়া, আরিফুল ইসলাম উজ্জ্বল, শাকিল চৌধুরী, আব্দুস সামাদ রাজ, ফাহিদুল আলম (ফরহাদ), অঞ্জনা আলম, মনোয়ার হোসেন, আলম শিমু, শফিউল আলম মুরাদ, কামরুজ্জামান চৌধুরী পাউন্ড ও তুহিন মোল্লা প্রমুখ।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম