শুক্রবার,

০৪ জুলাই ২০২৫,

২০ আষাঢ় ১৪৩২

শুক্রবার,

০৪ জুলাই ২০২৫,

২০ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

‘কোনো টিভি চ্যানেল স্বৈরাচারী শাসনামলের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চায়নি’

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮:৪৬, ৪ জুলাই ২০২৫

Google News
‘কোনো টিভি চ্যানেল স্বৈরাচারী শাসনামলের ভূমিকার জন্য ক্ষমা চায়নি’

টেলিভিশন ও সংবাদপত্রের কিছু কর্তা সহিংসতাকে সরাসরি উসকে দিয়েছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার। তিনি বলেন, আমাদের কোনো টিভি চ্যানেল স্বৈরাচারী শাসনামলে তাদের ভূমিকার জন্য আজও ক্ষমা চায়নি। তাদের মধ্যে কেউ কেউ তৎকালীন সরকারের প্রচারযন্ত্র হিসেবে কাজ করেছিল।

আজ শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকেলে নিজের ফেসবুক আইডিতে করা পোস্টে তিনি এ মন্তব্য করেন। আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, টিভি ও সংবাদপত্রের কিছু কর্তা সরাসরি সহিংসতা উসকে দিয়েছিলেন। যারা এটা করেছেন, তাদের অবশ্যই পরিণতি ভোগ করতে হবে। তবে অন্তর্বর্তী সরকার সবসময় প্রতিষ্ঠানগুলোকে রক্ষা করার চেষ্টা করেছে। আমরা কোনো ব্যক্তির দোষের কারণে কোনো মিডিয়া আউটলেটের ক্ষতি করতে চাইনি।

পোস্টে প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব লিখেছেন, জুলাই মাস আমাদের জীবনে ফিরে আসার পর চার দিন কেটে গেছে। সেই সঙ্গে ফিরে এসেছে ভয়াবহ গুলি ও খুনের স্মৃতি এবং পুনরুজ্জীবিত আশা ও স্বপ্ন।

আজাদ মজুমদার বলেন, জুলাই আমাদের নতুন করে দেশ গড়ার আশা দেয়, কারণ আমাদের গণমাধ্যম এখন তা নিজেদের করে নিতে শুরু করেছে। গত চার দিনে আমি কিছু ভালো লেখা দেখেছি- ‘কেন জুলাই অনিবার্য ছিল’ সে বিষয়ে বিশ্লেষণ। কেউ কেউ গত কিছু মাসের সাফল্য নিয়ে হতাশাও প্রকাশ করেছেন, তবে সেটাই স্বাভাবিক। যখন প্রত্যাশা বেশি থাকে, তখন হতাশাও গভীর হয়।

উপ-প্রেস সচিব আরও লিখেছেন, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো বিশেষ অনুষ্ঠান সম্প্রচার করছে, কোনো সরকারি নির্দেশ ছাড়াই। এটিও একটি বড় পরিবর্তন। এটি তাদের নিজেদের দায়মুক্তির একটি সুযোগ। তারা সে সময়ের গুলিবর্ষণ ও হত্যাকাণ্ডের ফুটেজ এবং তথ্য সংরক্ষণ করলেও তখন তা দেখাতে পারেনি। এখন সময় এসেছে জুলাইকে নতুন করে দেখার এবং যা তারা তখন দেখাতে পারেনি, তা সামনে আনার। ভালো ব্যাপার হলো- তারা সেটা শুরু করেছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা জানতাম, টিভি চ্যানেলগুলোর সীমাবদ্ধতা কী ছিল। অনেক সাংবাদিক আমাদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন- কীভাবে তারা বাধ্য হতেন তথ্য গোপন করতে বা সরকার-প্রচারমূলক সংবাদ প্রচার করতে। আমরা সতর্ক ছিলাম, যেন আমাদের সময় এমন পরিস্থিতি না হয় এবং সাংবাদিকদের যেন কখনো এমন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে না হয়। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করাই অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য এবং এই পরিবর্তন এখন দৃশ্যমান।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের