বুধবার,

০৬ আগস্ট ২০২৫,

২২ শ্রাবণ ১৪৩২

বুধবার,

০৬ আগস্ট ২০২৫,

২২ শ্রাবণ ১৪৩২

Radio Today News

বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিও সংশোধনী: ইসি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:১৬, ৫ আগস্ট ২০২৫

Google News
বৃহস্পতিবার চূড়ান্ত হবে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিও সংশোধনী: ইসি

আগামী বৃহস্পতিবার গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ বা আরপিও সংশোধনী চূড়ান্ত হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রহমানেল মাছউদ। তিনি বলেন, আমরা শুরু থেকেই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছি। আমরা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত আছি। সরকার আরপিও পরিবর্তনে ঐকমত্য হলে সেটিও করা হবে। আমাদের কর্মপন্থা সামনে বিস্তারিত জানাবো। 

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) রাতে একাত্তরকে তিনি এসব কথা বলেন।

বাংলাদেশের নির্বাচন বিশ্লেষক ও বিশেষজ্ঞদের মতে বাংলাদেশে সংবিধানের আওতায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যতোগুলো আইন আছে তার মধ্যে নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত মূল আইন হলো আরপিও বা গণপ্রতিনিধিত্ব আইন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীতে সংবিধান তৈরির পর নির্বাচন পরিচালনার জন্য প্রথমবারের মতো আরপিও বা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ প্রণয়ন করা হয়েছিলো।

এরপর বিভিন্ন সময়ে নানা পরিবর্তন আনা হয়েছে এ আইনটিতে। সবশেষ সংসদে পাশ হয়েছিলো গণপ্রতিনিধিত্ব (সংশোধন) আইন ২০২৩।

আরপিও’র ১৪৫টি ধারার মধ্যে নির্বাচন সংক্রান্ত সব বিষয় বর্ণনা করা আছে। এর মাধ্যমে বলা আছে যে কীভাবে নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু হবে। নির্বাচনের জন্য দেশের মানুষের গণঅধিকার কোনগুলো এবং এ অধিকার রক্ষায় নির্বাচন কমিশন কী করবে সেটিই বলা আছে আরপিওতে।

গত ১৩ জুলাই নির্বাচনের প্রধান আইন ‘গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ, ১৯৭২’ আরপিও সংশোধনীর খসড়া কমিশনের সভায় উত্থাপন করা হয়। প্রস্তাবিত এ সংশোধনীতে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না ভোট’ চালুসহ বড় ধরনের সংস্কারের উদ্যোগ নেয় নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, কমবেশি অর্ধশত সংশোধনী এনে এ খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আগামী নির্বাচনে যেসব আসনে একক প্রার্থী থাকবেন, সেখানে ‘না ভোট’ চালুর প্রস্তাবও করা হয়েছে। ওই সংশোধনী পাশ হলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সংসদ-সদস্য হওয়ার পথ বন্ধ হয়ে যাবে। শুধু তাই নয়, কোনো প্রার্থীর চেয়ে ‘না ভোট’ বেশি পড়লে সেই আসনে আবারও ভোট হবে। এছাড়া, খসড়ায় সংসদ-সদস্য প্রার্থী হওয়ার যোগ্যতা-অযোগ্যতায় সংশোধনী আনা হয়েছে। এতে সংসদ-সদস্য প্রার্থী হওয়ার জন্য সর্বনিম্ন শিক্ষাগত যোগ্যতা ‘স্নাতক পাশ’ হতে হবে। একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ দুটির বেশি আসনে প্রার্থী হতে পারবেন না। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের অধীন কোনো অপরাধে অপরাধী সাব্যস্ত হলে তিনি প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য হবেন। 

ইসি যদিও এ সংশোধনী রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের ভিত্তিতেই চূড়ান্ত করতে চায়। তাই নির্বাচনে ‘না ভোট’ চালু করতে হলে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের প্রয়োজন হবে। 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের

আরও পড়ুন