
একজন করদাতার আয়, ব্যয়, সম্পদ বা দায় সংক্রান্ত বিষয়ে রিটার্নে সঠিক ঘোষণা প্রদান করা একজন করদাতার নাগরিক ও আইনী দায়িত্ব উল্লেখ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, করদাতার প্রকৃত আয়ের পরিমান আইনানুযায়ী করযোগ্য না হলে তাঁকে কোনো কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে কর প্রদেয় না হলেও সঠিক তথ্য-উপাত্ত প্রদর্শন না করে শূন্য আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় দেখিয়ে শুন্য বা জিরো রিটার্ন দাখিল করার কোন সুযোগ আয়কর আইনে নেই।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, করদাতার প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় প্রদর্শন না করে এর কোন একটি শূন্য অথবা সবগুলো তথ্য শূন্য হিসেবে প্রদর্শন করা সম্পূর্ণ বে-আইনি এবং এটি একটি ফৌজদারী অপরাধ। করদাতা কর্তৃক দাখিলকৃত আয়কর রিটার্নে তাঁর আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় সম্পর্কিত সঠিক তথ্য প্রদর্শন না করে মিথ্যা বা অসত্য তথ্য প্রদান করলে আয়কর আইন, ২০২৩ এর ধারা ৩১২ ও ৩১৩ অনুসারে করদাতাকে ৫ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের বিধান রয়েছে।
বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, আয়কর আইন, ২০২৩ অনুসারে ‘জিরো রিটার্ন’ নামে কোনো প্রকার রিটার্ন দাখিলের বিধান নেই। আয়কর আইন অনুসারে একজন করদাতাকে তাঁর প্রকৃত আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায় অবশ্যই সঠিকভাবে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করতে হবে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ‘জিরো ট্যাক্স রিটার্ন’ দাখিল বিষয়ক কতিপয় পোস্টের প্রেক্ষিতে আজ রোববার এনবিআরের জনসংযোগ বিভাগের পক্ষ থেকে রিটার্ন দাখিলের বিষয়ে এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়,সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের এ সকল পোস্টে রিটার্ন পূরণের সবকয়টি ঘর “শূণ্য” হিসেবে পূরণ করে রিটার্ন দাখিল করা যায় মর্মে ভ্রান্ত ধারণা প্রচার করা হচ্ছে। এসকল ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে কোনো কোনো করদাতা তাঁদের আয়কর রিটার্নে আয়, ব্যয়, সম্পদ ও দায়ের বিষয়ে অসত্য ঘোষণা প্রদান করে আসছেন মর্মে জানা যায়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত প্রতারনামূলক জিরো রিটার্নের ফাঁদে পা না দিয়ে নিজেকে কারাদন্ড ও অর্থদণ্ড হতে সুরক্ষিত রাখবেন বলে এনবিআরের পক্ষ থেকে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম