মঙ্গলবার,

০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

১৭ ভাদ্র ১৪৩২

মঙ্গলবার,

০২ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

১৭ ভাদ্র ১৪৩২

Radio Today News

‘মবকারীরা’ ৩০০ আসনে ভাগ হয়ে যাবে, সুবিধা করতে পারবে না: মার্কিন দূতকে সিইসি

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২:১৪, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ২২:১৬, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Google News
‘মবকারীরা’ ৩০০ আসনে ভাগ হয়ে যাবে, সুবিধা করতে পারবে না: মার্কিন দূতকে সিইসি

‘মবকারীরা’ ৩০০ আসনে ভাগ হয়ে যাবে এবং সুবিধা করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন।

সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ট্র্যাসি এন জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় সংসদে ৩০০ আসনের নির্বাচন একসঙ্গে হবে। তখন ওই ৩০০ জায়গাতেই ‘মব’ ভাগ হয়ে যাবে। যারা মব সৃষ্টি করেন, তারা নিজ নিজ এলাকায় চলে যাবেন। তখন একসঙ্গে এত লোক একত্রে আর পাওয়া যাবে না। যারা মব সৃষ্টি করতে চান বা মব সৃষ্টি করবেন, তারা নির্বাচনের সময় সুবিধা করতে পারবেন না।

যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত দেশের বর্তমান ‘মব’ পরিস্থিতি এবং নির্বাচনের সময় এর প্রভাব এবং কমিশনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন জবাব দিয়েছেন বলে জানান সিইসি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি মূলত জানতে চেয়েছেন—নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতি কোন পর্যায়ে রয়েছে। যেহেতু ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাবনা রয়েছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ৫ আগস্ট মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচনী চিঠি পাওয়ার পর থেকেই প্রস্তুতি জোরদার করেছি। যদিও তার আগেই বড় বড় কাজগুলো শুরু করে দেওয়া হয়েছিল, যেন প্রস্তুতির ঘাটতি না থাকে। নির্বাচন কমিশনকে যাতে কোনো ব্লেম (দোষ) দিতে না পারে।’

সিইসি বলেন, ‘পরিষ্কারভাবে জানিয়েছি, নির্বাচন কমিশন কোনো দোষ বা দায় নিতে রাজি না। অতীতে যেমন কমিশনের প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এবার আমরা এমন প্রস্তুতি নিচ্ছি যেন কেউ বলতে না পারে যে আমরা প্রস্তুত ছিলাম না। সরকার যখনই চাইবে, আমরা যেন নির্বাচন পরিচালনা করতে পারি, সেই লক্ষ্যেই কাজ করা হচ্ছে।’

বৈঠকে নির্বাচন আয়োজন নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মনোভাবের বিষয়েও জানতে চাওয়া হলে কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, অতীতে বিভিন্ন নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্য থাকা সত্ত্বেও শেষ পর্যন্ত একটি সমঝোতায় পৌঁছেছিল। এবারও তারা আশাবাদী। রাজনৈতিক দলগুলো দেশের স্বার্থেই কাজ করে, তাই শেষ পর্যন্ত নির্বাচন নিয়ে একটি সমঝোতা হবে বলেও তিনি আশাবাদী বলে জানিয়েছেন।

এ প্রসঙ্গে সিইসি আরও বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছেন, যা একটি ইতিবাচক দিক। এ ছাড়া প্রধান উপদেষ্টা এত দিন যেভাবে নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিয়েছেন, এখনো তেমনই করছেন। এখনো পর্যন্ত তিনি (সিইসি) কোনো রাজনৈতিক প্রভাব বা চাপ অনুভব করেননি এবং সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করছেন বলে যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন।

নির্বাচন ও অন্যান্য বিষয়ে গুজব প্রসঙ্গে সিইসির কাছে জানতে চান যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত। জবাবে সিইসি জানান, চারদিকে নানা ধরনের গুজব। এই দেশটা গুজবের দেশ। গুজব ম্যানুফ্যাকচার (তৈরি) করার জন্য অনেক ‘ইন্ডাস্ট্রি’ গড়ে উঠেছে এখানে। গুজবে কান দিতে নেই। এ ছাড়া কমিশন কী কী সংশোধনী প্রস্তাব করেছে, সেগুলোও জানানো হয়েছে।

নির্বাচনে কালো টাকা ব্যবহার প্রতিরোধের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘আমরা যথাসম্ভব ব্যবস্থা নিচ্ছি। পুরোপুরি বন্ধ করা কঠিন। তবে নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের