প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

শুক্রবার,

৩১ অক্টোবর ২০২৫,

১৬ কার্তিক ১৪৩২

শুক্রবার,

৩১ অক্টোবর ২০২৫,

১৬ কার্তিক ১৪৩২

Radio Today News

প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৪:৪৫, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

আপডেট: ১৪:৪৬, ৩১ অক্টোবর ২০২৫

Google News
প্রতিদ্বন্দ্বীর ক্ষতি করতে বিদেশ থেকে সাইবার হামলা, কিছু আইএসপিকে শনাক্ত করেছে সরকার

দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডিং (আইএসপি) খাতে ‘ভয়ংকর সাইবার ষড়যন্ত্রের’ তথ্য-প্রমাণ সরকারের হাতে এসেছে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) নিজের ভেরিফায়েড এক ফেসবুক পোস্টে তিনি এ কথা জানান। 

ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লিখেন, দেশের ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডিং (আইএসপি) খাতে কিছু প্রতিষ্ঠান বিদেশ থেকে সংগঠিত DDoS (Distributed Denial of Service) আক্রমণের মাধ্যমে প্রতিদ্বন্দ্বী আইএসপি-দের নেটওয়ার্ক ও ব্যাবসা ধ্বংসের চেষ্টা করছে- এমন বিশ্বাসযোগ্য তথ্য-প্রমাণ সরকার ও বিটিআরসি-র হাতে এসেছে। 

বিশ্বস্ত সূত্রের বরাত দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী লিখেন, দায়ী প্রতিষ্ঠানগুলোর নাম আমাদের হাতে এসেছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত কোম্পানির মালিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা আসছে, তারা নতুন লাইসেসিং প্রক্রিয়ায় সুযোগ পাবে না। তাদের বর্তমান লাইসেন্সও বাতিল করা হতে পারে। 

অন্যদিকে, তিনি লাইসেন্স নবায়ন ও শেয়ার হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় থাকা অনেক আইএসপি কোম্পানির বিপুল পরিমাণ বকেয়ার বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, যারা সরকারি বা বেসরকারি কোম্পানি থেকে ব্যান্ডউইথ কিনে অর্থ পরিশোধ না করে কৌশলে অন্য আইটিসি বা আইআইজিতে শিফট হয়েছেন, তাদের লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।

গুরুত্বর আর্থিক অপরাধের প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, এছাড়াও সাবেক সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কযুক্ত কিছু কোম্পানি কোটি কোটি টাকার পাওনার নামে সরকারি প্রতিষ্ঠানের কাছে ভুয়া চেক প্রদান করে চেক বাউন্সিং প্রতারণা করেছে (যেমন আমরা নেটওয়ার্ক)। এসব গুরুতর আর্থিক অপরাধের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা ও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। বকেয়া অপরিশোধিত রেখে কোনো লাইসেন্স নবায়ন করা হবে না।

আমরা দেশের সব আইএসপি প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করছি জানিয়ে তিনি লিখেন, দ্রুত অ্যান্টি-DDoS সেটআপ ও লোড-ব্যালান্সার স্থাপন করুন। নেটওয়ার্ক নিরাপত্তায় যথাযথ বিনিয়োগ করুন। প্রতিযোগিতা বন্ধ বা সীমিত করতে টার্গেটেড অন্যায় আচরণ বন্ধ করুন। 

নিজের পরিচিত কিংবা ভাই-বেরাদার বলে DDoS আক্রমণকারীদের নাম লুকিয়ে রাখবেন না বলে সতর্ক করেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বরং ক্ষতিগ্রস্তরা একত্র হয়ে মামলা করুন, আপনারা মামলা করলে সরকার অপরাধ দমনে প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা দিতে সক্ষম হবে। বিটিআরসি অবৈধ আক্রমণকারীদের ধরবে, পাশাপাশি আপনারাও নিজেদের অবকাঠামোকে নিরাপদ করতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করবেন। 

যৌথভাবে কাজ করে আমরা বাংলাদেশের ইন্টারনেট সেবা খাতকে আরও সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ করবো বলে জানান ফয়েজ আহমদ। 

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের