শহীদ মিনারে আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসছেন অর্থ মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
রবিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সচিবালয়ে শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে দুই মন্ত্রণালয়ের আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ।
এদিন বিকেলে কালো কাপড়ে মুখ বেঁধে পুলিশি হামলার প্রতিবাদ জানিয়েছেন আন্দোলনরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। শহীদ মিনারে শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচি এবং বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি চলবে বলে জানিয়েছেন তারা।
এ সময় শিক্ষক নেতা শামসুদ্দিন মাসুদ বলেন, আজ ১১টি শিক্ষক সংগঠন আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছে। আমরা সবার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে পরে সিদ্ধান্ত নেব।
এর আগে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে কাফনের কাপড় হাতে শিক্ষকরা শপথ নেন—দশম গ্রেড এবং শতভাগ পদোন্নতি ছাড়া ফিরে যাবেন না।
শপথ শেষে শিক্ষক নেতা আনিসুর রহমান আনিস বলেন, ‘একই যোগ্যতা নিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দশম গ্রেড পাচ্ছে।
কিন্তু আমরা পাচ্ছি ১৩তম গ্রেড। বিশ্ববিদ্যালয় গ্র্যাজুয়েট হয়েও আমাদের দিনমজুরের অর্ধেক বেতনে চাকরি করতে হয়।’
তিনি বলেন, ‘যখন বেতন-ভাতা বৃদ্ধির আলোচনা আসে, তখন কোষাগারে টান পড়ে। অথচ দেশে শতকোটি টাকার দুর্নীতি হচ্ছে।
রাষ্ট্রের কাছে আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি জানিয়েছি। কিন্তু গতকাল শাহবাগে আমাদের ওপর ন্যক্কারজনক হামলা হয়েছে।’
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা বর্তমানে জাতীয় বেতন স্কেলের ১৩তম গ্রেডে বেতন পান। দশম গ্রেডে করার দাবিতে তারা আন্দোলন করছেন। শিক্ষকদের অন্য দুই দাবি হলো—শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি এবং চাকরির ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দেওয়া।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

