বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের : উপদ

শনিবার,

২২ নভেম্বর ২০২৫,

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

শনিবার,

২২ নভেম্বর ২০২৫,

৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩২

Radio Today News

বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের : উপদ

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৫:৩৮, ২২ নভেম্বর ২০২৫

Google News
বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের : উপদ

আমরা বৈষম্যহীন সমাজ চাই, যেখানে রাজনীতি হবে মানুষের অধিকার ও ক্ষমতায়নের জন্য। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এসব কথা বলেছেন।

আজ (শনিবার) রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের এক্সপো ভিলেজে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ আয়োজিত সমাবর্তন ২০২৫-এ সমাবর্তন বক্তার বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

সমাজে নেতিবাচক প্রচারণা বাড়ায় সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের সমস্যা গভীর, এক-দুই বছরে সব সমাধান সম্ভব নয়। ভালো প্রজন্ম গঠনে পরিবার, সমাজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন। 

তিনি  বলেন, বৈষম্যহীন ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে হলে নিজেদের মধ্যেই ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে হবে। অতীতে অন্যায়-অবিচার ও চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও মানুষের স্বপ্নই বহুবার সমাজকে এগিয়ে নিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন।

রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, নিজেদের এবং দেশের ভবিষ্যতের স্বার্থে পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এখনই সর্বোচ্চ মনোযোগ দিতে হবে।

এছাড়াও মানবিক,  পরিবেশ ও নারীবন্ধব সমাজ গঠনে সবাইকে নিজের অবস্থান থেকে দায়িত্বশীল ভূমিকা রাখতে হবে।

উপদেষ্টা সবাইকে সতর্ক করে বলেন, যদি এখনই সচেতন না হলে আমাদের সন্তানেরা হয়ত চিরচেনা বাংলাদেশের মানচিত্র এভাবে দেখতে পাবে না। তবে বায়ুদূষণ, বনধ্বংস ও নদী দূষণের মত সমস্যা রাতারাতি বন্ধ করা সম্ভব নয় বলেও জানান।

তিনি বলেন, ধাপে ধাপে সমাধান করা গেলে পরিবর্তন সম্ভব। ইতোমধ্যে নদী পুনরুদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়েছে এবং পরিবেশ রক্ষায় আইন-নীতির সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান। যথাযথ সহযোগিতা পেলে এসব উদ্যোগ আরও গতিশীল হবে ।

প্রাণীকল্যাণের গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, ধর্মও আমাদের প্রাণীর প্রতি দয়া দেখানো কথা শেখায়। মানবিক সমাজ গড়তে হলে প্রাণী ও প্রকৃতির প্রতি সদয় হতে হবে।

সমাবর্তনে সভাপতির বক্তব্যে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, দায়িত্ব নিতে হবে, সমাজের জন্য ভাবতে ও কাজ করতে হবে। পরিশ্রম করতে হবে, স্বপ্ন দেখতে হবে এবং মানবতার সেবায় এগিয়ে যেতে হবে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফারাহনাজ ফিরোজ, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউনুছ মিয়া এবং রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আব্দুল মতিন।

সমাবর্তন ২০২৫-এ ৫টি অনুষদ ও ১৪টি বিভাগ থেকে মোট ১ হাজার ৪০৭ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রি দেওয়া হয়। সর্বোচ্চ সিজিপি অর্জনের জন্য ৫টি অনুষদের থেকে ১০ শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক এবং আরও ৪০ জনকে ভাইস চ্যান্সেলর স্বর্ণপদক দেওয়া হয়।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের