বিশ্বের শীর্ষ ১০ বিজ্ঞান গবেষণাও কেন্দ্রের তালিকায় এবারও আধিপত্য দেখিয়েছে চীনা শহরগুলো। আন্তর্জাতিক প্রকাশক স্প্রিংগার নেচার প্রকাশিত নেচার ইনডেক্স ২০২৫ সায়েন্স সিটিস–এ দেখা গেছে, শীর্ষ ১০ শহরের মধ্যে ৬টিই চীনের।
২০১৬ সাল থেকে বিশ্বের বিজ্ঞান-শহরের তালিকায় প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছে বেইজিং। দ্বিতীয় স্থানে শাংহাই। বাকি শহরগুলোর অবস্থান হলো—নানচিং ৫ম, কুয়াংচৌ ৬ষ্ঠ, উহান ৮ম ও হাংচৌ ১০ম।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক, বোস্টন, সান ফ্রান্সিসকো বে এরিয়া এবং বাল্টিমোর–ওয়াশিংটন মেট্রোপলিটন শীর্ষ ১০–এ থাকা অন্যান্য শহর।
নেচার ইনডেক্স বিশ্বজুড়ে গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোর ১৪৫টি উচ্চমানের প্রাকৃতিকবিজ্ঞান ও স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের জার্নালে প্রকাশিত গবেষণার ভিত্তিতে র্যাংকিং তৈরি করে।
সিংহুয়া থোংহেং প্ল্যানিং অ্যান্ড ডিজাইন ইনস্টিটিউটের উপ–প্রধান পরিকল্পনাবিদ শাং ইয়ানরান বলেন, নতুন রিপোর্ট প্রমাণ করে যে, বৈশ্বিক বিজ্ঞান–প্রযুক্তি উদ্ভাবনে চীন এখন বড় ভূমিকা পালন করছে।
তিনি বলেন, উদ্ভাবন সাধারণত কিছু অঞ্চলে কেন্দ্রীভূত থাকে— যেমন উত্তর আমেরিকায় সিলিকন ভ্যালি, ইউরোপে লন্ডন, পূর্ব এশিয়ায় টোকিও। চীন এ চিত্রকে বৈচিত্র্যময় করেছে; বেইজিং, শাংহাই ও কুয়াংচৌকে কেন্দ্র করে তৈরি হয়েছে নতুন উদ্ভাবনী নেটওয়ার্ক।
৫টি প্রধান বিষয়ের মধ্যে ৩টিতে চীনা শহরগুলো শীর্ষে। এগুলো হলো—রসায়ন, পদার্থবিজ্ঞান ও পৃথিবী ও পরিবেশবিজ্ঞান।
রসায়নে প্রথমবারের মতো শীর্ষ ১০–এ সবগুলো স্থান দখল করেছে চীনা শহরগুলো। বেইজিং তিন ক্ষেত্রেই প্রথম।
জীববিজ্ঞানে নিউইয়র্ক ও বোস্টন প্রথম দুই স্থানে আছে, বেইজিং তৃতীয়। স্বাস্থ্যবিজ্ঞানে যুক্তরাষ্ট্রের শহরগুলো শীর্ষ ১০–এর অর্ধেক দখল করেছে, বেইজিং রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।
২০২৩ সালের তুলনায় হাংচৌ তিন ধাপ এগিয়ে ২০২৪ সালের শীর্ষ ১০–এ উঠেছে। আলিবাবা ও ডিপসিকের মতো প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের শহর হাংচৌ মৌলিক গবেষণায় দীর্ঘমেয়াদি তহবিল ব্যবস্থাও গড়ে তুলেছে। গত বছর শহরটির গবেষণা–উন্নয়ন ব্যয় ৮৫ বিলিয়ন ইউয়ান ছাড়িয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ৮.৩ শতাংশ বেশি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

