চলচ্চিত্র নির্মাণে এক্সটেন্ডেড রিয়েলিটি বা এক্সআর প্রযুক্তির ব্যবহার ২০২৫ চায়না গোল্ডেন রোস্টার ও হান্ড্রেড ফ্লাওয়ার্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের প্রধান আকর্ষণ হয়ে উঠেছে। ১১-১৫ নভেম্বর পূর্ব চীনের ফুচিয়ান প্রদেশের সিয়ামেন শহরে অনুষ্ঠিত এই উৎসবে এক্সআর প্রযুক্তির উদ্ভাবনী প্রয়োগ বিশেষভাবে নজর কেড়েছে।
২০২৫ গোল্ডেন রোস্টার এক্সআর শোকেসে বিভিন্ন দেশ থেকে ৬০টিরও বেশি জমা পড়েছিল—যার মধ্যে ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গল্পনির্ভর কাজ, ইন্টারঅ্যাকটিভ চলচ্চিত্র ও অগমেন্টেড রিয়েলিটি থিয়েটার অন্তর্ভুক্ত। এর মধ্যে ১২টি কাজ ফাইনালে পৌঁছায়।
উৎসবের প্রদর্শনী এলাকায় দর্শকরা হেড-মাউন্টেড ডিসপ্লে পরে ভার্চুয়াল জগতে নিমজ্জিত হন। এখানে তারা শুধু দর্শক নন, বরং গল্পের সক্রিয় অংশগ্রহণকারী ও নায়ক হিসেবে নিজেকেই অনুভব করেন।
এক্সআর প্রযুক্তি শুধু দর্শকদের নতুন অভিজ্ঞতাই দিচ্ছে না—এটি চলচ্চিত্র নির্মাণেও যুক্ত করছে সৃজনশীলতার নতুন দিগন্ত। অনেক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখন চলচ্চিত্রের প্রি-প্রোডাকশনে সহায়ক নতুন ডিজিটাল টুল তৈরি করছে।
চলচ্চিত্র নির্মাণ ও দেখার অভিজ্ঞতার বাইরে, এক্সআর প্রযুক্তি চলচ্চিত্র শিল্পে নতুন ধরনের বিন্যাস, ফরম্যাট ও সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে। উৎসবের এক উপ-আয়োজনে বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতের ইমারসিভ কনটেন্ট নিয়ে আলোচনা করেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

