দক্ষিণ চীনের কুয়াংতোং প্রদেশে স্থাপিত বিশ্বের বৃহত্তম স্বচ্ছ গোলাকার নিউট্রিনো ডিটেক্টর চুনো প্রথম বৈজ্ঞানিক সাফল্য অর্জন করেছে। বুধবার প্রকাশিত ফলাফলে বলা হয়, এ প্রকল্পের দশ বছরের নির্মাণযাত্রায় সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে।
চিয়াংমেনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে চাইনিজ একাডেমি অব সায়েন্সেসের হাই-এনার্জি ফিজিক্স ইনস্টিটিউট জানায়, চুনো ২৬ আগস্ট থেকে পরিচালনা শুরু করে। মাত্র ৫৯ দিনের কার্যকর ডেটা বিশ্লেষণে সূর্য থেকে আগত নিউট্রিনোর দুটি স্পন্দন ধরা পড়েছে আগের তুলনায় ১.৫ থেকে ১.৮ গুণ বেশি নির্ভুলভাবে।
আগের গবেষণায় সৌর নিউট্রিনো ও রিঅ্যাক্টর অ্যান্টিনিউট্রিনো সূত্রে পাওয়া ফলের মধ্যে ১.৫ সিগমা পার্থক্য ছিল, যা ‘সোলার নিউট্রিনো টেনশন’ নামে পরিচিত। চুনোর নির্ভুলতা দেখাচ্ছে, যন্ত্রটি নকশা অনুযায়ীই কাজ করছে। খুব দ্রুতই এটি নিউট্রিনোর ভর–ক্রম নির্ধারণ ও তিন-ফ্লেভার তত্ত্ব পরীক্ষা করতে পারবে।
অতিক্ষুদ্র ভরহীন কণা নিউট্রিনো অত্যন্ত দুর্লভভাবে পদার্থের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে—তাই এগুলোকে ভুতুড়ে কণা বলা হয়। এ কারণে এগুলোর অস্তিত্ব শনাক্ত করতে সুবিশাল ডিটেক্টরের প্রয়োজন হয়। চুনোর কেন্দ্রীয় অংশে ২০ হাজার টন তরল–সিনটিলেটর রাখা হয়েছে ৩৫ মিটার ব্যাসের অ্যাক্রিলিক গোলকে। চারপাশে ৪৫ হাজারের বেশি ফটো–মাল্টিপ্লায়ার টিউবে ধরা পড়বে নিউট্রিনোর ক্ষীণ সংকেত।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

