
নির্বাচন কমিশনের কাছে ২০২৪ সালের আয় ও ব্যয়ের হিসাব জমা দিয়েছে বিএনপি। এতে আয় দেখানো হয়েছে ১৫ কোটি ৬৫ লাখ ৯৪ হাজার ৮৪২ টাকা। আর ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪ হাজার ৮২০ টাকা ব্যয়ের কথা বলা হয়েছে। ব্যাংকে জমা রয়েছে ১০ কোটি ৮৫ লাখ ৯০ হাজার ১৯ টাকা।
রোববার সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে হাজির হয়ে এই হিসাব জমা দেয় বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর নেতৃত্বাধীন প্রতিনিধি দল।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, যারা গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছিল, তারা নির্বাচন বানচালে চক্রান্ত করতে পারে। সেগুলো সরকারকে মোকাবিলা করতে হবে।
তিনি বলেন, জনগণ প্রত্যাশা করে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও অর্ন্তভূক্তিমূলক নির্বাচন আয়োজন করবে বর্তমান কমিশন। বিগত ১৫ বছর মানুষ ভোট দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষায় রয়েছে। তাই বর্তমান কমিশন সুষ্ঠু নির্বাচন করবে বলেও প্রত্যাশা বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতার।
অতীতে মেরুদণ্ডহীন লোকদের নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ কারচুপির ভোট করেছিল বলে অভিযোগ করেন রিজভী।
তিনি আরও বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দেশের নির্বাচন ব্যবস্থাসহ সবকিছু ধ্বংস করে দিয়েছিল।
গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের একান্ত সচিব মোহাম্মদ আশরাফুল আলম জানান, আগামীকাল রোববার (আজ) বিএনপির একটি প্রতিনিধি গত পঞ্জিকা বছরের (২০২৪ সাল) আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশনে আসবে।
গত ৭ জুলাই ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, নিবন্ধিত দলগুলোকে আয়-ব্যয়ের হিসাব চেয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় তাদের চিঠি দেওয়া হয়নি।
গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) অনুযায়ী, প্রতি বছর ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে আগের পঞ্জিকা বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব দলগুলোকে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ অনুযায়ী পর পর তিন বছর দলের আয়-ব্যয়ের হিসাব জমা না দিলে সংশ্লিষ্ট দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান রয়েছে।
বর্তমানে ইসিতে আওয়ামী লীগসহ নিবন্ধিত দল ৫১টি হলেও আওয়ামী লীগের নিবন্ধন স্থগিত থাকায় ৫০টি দলকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম