মঙ্গলবার,

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

২৪ ভাদ্র ১৪৩২

মঙ্গলবার,

০৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫,

২৪ ভাদ্র ১৪৩২

Radio Today News

ডাকসুর ভোট গণনা শেষ হবে ৩-৪ ঘন্টায়: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

রেডিওটুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২১:২৬, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Google News
ডাকসুর ভোট গণনা শেষ হবে ৩-৪ ঘন্টায়: প্রধান নির্বাচন কমিশনার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অপটিক্যাল মার্ক রিকগনিশন (ওএমআর) প্রযুক্তিনির্ভর ছয় পৃষ্ঠার ব্যালট ফর্ম ব্যবহার করা হবে। সোমবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলাপ করে এ তথ্য জানা গেছে।

প্রতিটি ভোটারের জন্য একটি করে ৬ পৃষ্ঠার ওএমআর ফর্ম দেওয়া হবে। এর মধ্যে ৫ পৃষ্ঠা কেন্দ্রীয় সংসদ এবং ১ পৃষ্ঠা হল সংসদের জন্য বরাদ্দ থাকবে। এতে প্রার্থীদের নাম, ব্যালট নম্বর, পদবির নাম এবং ভোট দেওয়ার জন্য নির্ধারিত ঘর থাকবে।

নির্বাচনে আট কেন্দ্রে মোট ৮১০টি বুথ থাকবে আর ভোটগ্রহণ শেষে ভোট গণনা হবে ৮টি কেন্দ্রে স্থাপনকৃত ১৪টি অত্যাধুনিক স্ক্যানিং মেশিনে। মেশিনগুলোর স্ক্যানিং গতি ঘণ্টায় ৫ হাজার থেকে আট হাজার পৃষ্ঠা পর্যন্ত, যা মিলিয়ে সম্মিলিতভাবে গড়ে প্রতি ঘণ্টায় প্রায় ৯১ হাজার পৃষ্ঠা স্ক্যান করা যাবে।

চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক জসীম উদ্দিন বলেছেন, মাঠপর্যায়ে মেশিনে ফর্ম লোডিং, যাচাই বা কারিগরি জটিলতায় মিলিয়ে ৩ থেকে ৪ ঘণ্টার মধ্যে গণনা শেষ করা সম্ভব হবে। বিকেল চারটার মধ্যে সিরিয়ালে দাঁড়ালে সবাই ভোট দিতে পারবেন।

প্রত্যেক কেন্দ্রের বাইরে এলইডি স্ক্রিনে ফলাফল গণনা প্রদর্শিত হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রের ফলাফল সেখানেই ঘোষণা করা হবে, পাশাপাশি স্ক্রিনেও দেখা যাবে। সবশেষে সিনেট ভবন মিলনায়তনে সব কেন্দ্রের মোট ফলাফল ঘোষিত হবে। তবে এর আগেই সকল কেন্দ্রের ফলাফল যোগ করে যে কেউ মোট ফলাফল বের করতে পারবেন।

নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের ৫টি ধাপে ভোটদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। প্রথম ধাপে শিক্ষার্থীকে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টার মধ্যে যেকোনো সময় নির্ধারিত ভোটকেন্দ্রে আসতে হবে। এরপর পোলিং অফিসার শিক্ষার্থীর পরিচয় নিশ্চিত হবেন। 

দ্বিতীয় ধাপে পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরি কার্ড অথবা পে-ইন-স্লিপ প্রদর্শন করবেন এবং অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীরা হল আইডি কার্ড, বিশ্ববিদ্যালয় আইডি কার্ড অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় লাইব্রেরি কার্ড প্রদর্শন করবেন।

তৃতীয় ধাপে শিক্ষার্থীর আঙুলে অমোচনীয় কালির দাগ দেওয়া হবে। শিক্ষার্থী ভোটার তালিকায় নিজের নামের পাশে স্বাক্ষর করবেন এবং পোলিং অফিসারকে ভোটার নম্বর জানাবেন। তাকে কেন্দ্রীয় সংসদের একটি এবং হল সংসদের একটি পেপার দেওয়া হবে।  

চতুর্থে ধাপে শিক্ষার্থীকে ব্যালট নিয়ে গোপন কক্ষে যেতে হবে। সেখানে মোবাইল ফোন অথবা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না। ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নম্বর খুঁজে বের করতে হবে। তারপর প্রার্থীর নামের পাশের ঘরে স্পষ্টভাবে ক্রস চিহ্ন দেবেন শিক্ষার্থী। ঘরের বাইরে ক্রস চিহ্ন দেওয়া যাবে না।

পঞ্চম কেন্দ্রীয় সংসদ ও হল সংসদের জন্য দুইটি আলাদা ব্যালট বক্স থাকবে। ব্যালট পেপার কোনো ভাঁজ না করে সেগুলো জমা দিতে হবে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের