 
				
					গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে চিকিৎসার জন্য বিদেশযাত্রায় বাধা প্রদানকে হয়রানিমূলক ও অপমানজনক বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক শিক্ষাপ্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ড. আ ন ম এহছানুল হক মিলন।
আজ শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এহছানুল হক মিলন বলেছেন, অভ্যুত্থান পূর্ববর্তী স্বৈরাচারী শাসনামলেও এভাবেই বিএনপি নেতাকর্মীদের হেনস্তা করা হতো।
এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, পাসপোর্ট সংক্রান্ত জটিলতার কথা সোশাল মিডিয়ায় আসছে, তবে সেখানে পাসপোর্টের মেয়াদ সংক্রান্ত সমস্যার কথা বলা হলেও তাতে সে ধরনের কোনো জটিলতা ছিল না। প্রত্যাশা করেন সরকার এ বিষয়ে সমাধান করবে।
সাবেক প্রতিমন্ত্রী-বিএনপি নেতা এহছানুল হল মিলন বলেছেন, আমি চিকিৎসার জন্য ব্যাংককে থাকাকালীন জানতে পারি। বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীদের যে বৈঠক হয়েছে- সেখানে আমাকে উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। দলের নির্দেশনা পেয়ে আমি চিকিৎসা অসম্পূর্ণ রেখে গত ২৫ অক্টোবর ঢাকায় ফিরে আসি।
দলীয় ও সাংগঠনিক কার্যক্রম সম্পন্ন করে ৩০ অক্টোবর আমি পুনরায় ব্যাংককে চিকিৎসার জন্য যাত্রা করি। এ সময় ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশনে গিয়ে জানতে পারি- আমাকে বিদেশগমনে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এই নিষেধাজ্ঞার কারণের কোনো সদুত্তর পাইনি।
আমি ব্যক্তিগতভাবে স্বচ্ছ, গণতান্ত্রিক, সাংবিধানিক রাজনীতিতে বিশ্বাস করা মানুষ। কখনো কোনো চক্রান্ত ষড়যন্ত্র, কোনো রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িত ছিলাম না। দেশ ও মানুষের ভালোবাসায় আমাকে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকত্ব ও পাসপোর্ট সারেন্ডার করে রাজনীতিতে আসতে হয়েছে।
বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে আমি ও আমার পরিবারসহ সর্বস্তরের ভিন্ন মতাদর্শীদের উপর অমানুষিক নির্যাতনের কথা আপনারা জানেন। ওই সময় বিরোধী পক্ষের কাউকে বিদেশগমনের অনুমতি না দেওয়া অত্যাচারের একটি অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হতো।
দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্যও দেশের বাহিরে যেতে দেওয়া হয়নি। আমাকে অপ্রত্যাশিতভাবে বিদেশ যেতে না দেওয়ার বিষয়টি সেই ন্যক্কারজনক সৃতি মনে করিয়ে দেয়।
আমি সরকারের কাছে জানতে চাই কেন আমাকে বিদেশ যেতে দেওয়া হলো না। এই সরকার মহান ২৪এর অভ্যুত্থানের সরকার। আমার দল বিএনপি শুরু থেকেই প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও তার নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের সমর্থন দিয়ে আসছে। ড. ইউনূসের প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও সম্মান রয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম
































 
				 
				 
				 
				 
				 
				 
				