নির্বাচন ঘিরে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, তবে হামলা কারা তা করতে পারে তা স্পষ্ট করা উচিত ছিলো বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে মুক্তিযোদ্ধা দলের আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে তিনি এসব মন্তব্য করেন।
এদিকে নির্বাচন নিয়ে প্রায় প্রতিদিনই বিভিন্ন দল বিএনপিকে দোষারোপ করছে। কেউ বলছেন, বিএনপি উল্টে গেছে, আবার কেউ বলছেন বিএনপির কারণে নির্বাচন পেছাচ্ছে, সঙ্কটের মুখে পড়েছে ইত্যাদি। প্রেস ক্লাবে এসব অভিযোগেরও জবাব দেন বিএনপি মহাসচিব।
বলেন, বিএনপি নির্বাচনমুখী দল। আমরা তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন চেয়েছিলাম। নির্বাচন হলে অপশক্তিগুলো মাথা তুলতে পারতো না।
পরিকল্পিতভাবে কিছু শক্তি বিভক্তি আনতে চায় মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা মুক্তিযুদ্ধকে নিচে নামিয়ে দিয়ে চব্বিশকে বড় করে দেখাতে চায়। কিন্তু একাত্তর আমাদের অস্তিত্ব। তাকে ভুলিয়ে দেওয়ার অবকাশ নেই। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষ শক্তি ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। তারা মুক্তিযুদ্ধকে ‘গোলমাল’ বলেছিলেন। জাতি সেটা ভোলেনি।
বিএনপির ৩১ দফা নিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সংস্কারপন্থি, কিন্তু জনগণকে বোকা বানিয়ে নয়, তাদের সামনে সত্য তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। ঐকমত্য কমিশন স্বাক্ষরের নোট অব ডিসেন্ট রেখেছিলো, কিন্তু এখন তা বাদ দেওয়া হয়েছে। এটি জনগণের সঙ্গে প্রতারণা।
দেশে এখন সবচেয়ে আলোচিত ইস্যু পিআর। এ নিয়ে রয়েছে পক্ষে-বিপক্ষে মত। মির্জা ফখরুল বলেন, পিআর হবে কি না সে সিদ্ধান্ত আগামী সংসদ নেবে। ‘পিআর না হলে নির্বাচন হবে না’, এ কথা বলে মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। কিছু দল আন্দোলন করে সব চাপিয়ে দিতে চায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা সাংবাদিক সম্মেলন করেছি, রাস্তায় নামিনি। প্রধান উপদেষ্টার বাড়ি বা নির্বাচন কমিশন ঘেরাও করিনি।
গণভোটের প্রয়োজন ছিলো না, তারপরও রাজি হয়েছি মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, কিন্তু তারা এখন আগে গণভোট চায়।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিষয়ে ফখরুল বলেন, হাসিনা গণমাধ্যমে কথা বলছেন, কিন্তু ক্ষমা চাননি। ভারতে বসে অপপ্রচার চালাচ্ছেন। ভারতকে বলবো, হাসিনাকে ফেরত দিন। তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

