দেশ ও জাতিকে নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী প্রতিশ্রুতিবদ্ধ বলে জানিয়েছেন দলটির আমির ও ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী ডা. শফিকুর রহমান। শুক্রবার (৭ নভেম্বর) রাত ৮টায় মিরপুর পীরেরবাগ ঝিলপাড়ে ঢাকা-১৫ সংসদীয় আসনে ডা. শফিকুর রহমান সমর্থক গোষ্ঠীর আয়োজিত প্রীতি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, ‘ন্যায়-ইনসাফের সমাজ প্রতিষ্ঠা এবং দেশকে দুর্নীতি-দুঃশাসন মুক্ত করার ক্ষেত্রে জামায়াত কারো সঙ্গে আপোষ করবে না বরং দেশ ও জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশ উপহার দিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
সভায় ডা. শফিকুর রহমান বলেন, ‘জামায়াত শুধু প্রতিশ্রুতির রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না বরং কথা ও কাজের মধ্যে মিল রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। নির্বাচনের আগে কিছু মানুষ বা দল বাংলাদেশকে আমেরিকা- কানাডা বানানোর স্বপ্ন দেখায়। কিন্তু নির্বাচনের পরে তারা সে ওয়াদা আর রাখে না। তাই বিগত ৫৪ বছরে দেশের মানুষ বহু ধোকা খেয়েছে। এবার এসব ধোঁকাবাজকে না বলুন।’
তিনি জানান, `অতীত-বর্তমানের আমলনামা দেখে আগামীতে তাদের আমলনামা কি হবে তা বুঝতে হবে। তাই শুধু কথামালার ফুলঝুড়িতে বিভ্রান্ত হলে চলবে না বরং ভোটারকে অবশ্যই বাস্তবতা উপলব্ধি করতে হবে।’ এছাড়াও তিনি দেশকে কল্যাণ রাষ্ট্রে পরিণত করতে সকলকে ময়দানে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ একটি স্বাধীন-সার্বভৌম দেশ। তাই এদেশ কারো নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে না। কাউকে দাদা বা বড় ভাই আমরা মানবো না। নিজেরা নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আত্মসম্মানের সাথে মাথা উঁচু করে চলবো। কারো সঙ্গে বৈরিতা নয় বরং সকলের সাথে বন্ধুত্ব ও সমতার ভিত্তি হবে আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূলমন্ত্র। আমরা কারো কাছে নতজানু হবো না। পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রে আমরা কারো রক্ত -চক্ষুকে পরোয়া করবো না। জনগণ আমাদেরকে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিলে আমরা নতুন প্রজন্ম ও যুব সমাজকে এমনভাবে গড়ে তুলবো, যাতে তাদের সরকারের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে না হয়। আমরা এমন এক প্রত্যয়ী যুব সমাজ গড়ে তুলতে চাই যারা আত্মনির্ভরশীল হয়ে স্বতোঃপ্রণোদিতভাবে নিজেরাই সরকারকে সহযোগিতা করবে।’
তিনি সে শান্তি, গতিশীল ও উন্নয়নের সমাজ প্রতিষ্ঠায় আগামী নির্বাচনে সারাদেশে জামায়াত প্রার্থীদের বিজয়ী করার আহবান জানান।
আমিরে জামায়াত বলেন, ‘আমরা এতদিন অতীত নিয়ে কামড়াকামড়ি করেছি। ফলে আমরা বৈশ্বিক প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়েছি। বিশ্বের অপরাপর জাতি যখন সামনের দিকে এগিয়ে গেছে, তখন আমরা এখনও পশ্চাৎপদ। কিন্তু এখন দিন বদলের সময় এসেছে। তাই দেশ ও জাতির ভাগ্য পরিবর্তনে আমাদের ইতিবাচক পরিকল্পনা গ্রহণ ও তা বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যেতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ আমাদেরকে সরকার গঠন করার সুযোগ দিলে নৈতিক ও উন্নত জাগতিক শিক্ষার চালু করণ, সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করণ এবং সভ্য ও উন্নত দেশগুলোর সঙ্গে শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতির সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে মানবিক বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করা হবে।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

