মাদক কারবারিদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করতে নিষেধ করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থী ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য ও তাঁর বন্ধুরা। এই নিষেধকে কেন্দ্র করে তাঁদের মধ্যে শত্রুতার সূত্রপাত। পরে ঘটনার দিন আসামি কবুতর রাব্বির ইলেকট্রিক ট্রেজারগানকে (ইলেকট্রিক শক মেশিন) কেন্দ্র করে মাদক কারবারিদের ছুরিকাঘাতে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ঢাবি ছাত্রদল নেতা সাম্য। রাজধানীর শাহবাগ থানায় করা সাম্য হত্যা মামলার অভিযোগপত্রে এসব চাঞ্চল্যকর তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশ পরিদর্শক মো. আখতার মোর্শেদ এই মামলায় সাতজন মাদক কারবারির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। তবে অভিযোগের সত্যতা না হওয়ায় চারজনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আখতার মোর্শেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, আসামি কবুতর রাব্বি ইলেকট্রিক ট্রেজারগান নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে গাঁজা বিক্রি করছিল। ট্রেজারগানকে কেন্দ্র করেই মাদক কারবারিদের সঙ্গে সাম্যের হাতাহাতি হয়।
এক পর্যায়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করা হয়।
মামলার বাদী সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা সুষ্ঠু বিচার চাই। জড়িতরা যেন আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে বের হতে না পারেন।
অভিযুক্তরা হলেন—মেহেদী হাসান, মো. রাব্বি ওরফে কবুতর রাব্বি, মো. রিপন ওরফে আকাশ, নাহিদ হাসান পাপেল, মো. হৃদয় ইসলাম, মো. হারুন অর রশিদ সোহাগ ওরফে লম্বু সোহাগ ও মো. রবিন।
অব্যাহতির সুপারিশ করা আসামিরা হলেন—সুজন সরকার, তামিম হাওলাদার, সম্রাট মল্লিক ও পলাশ সরদার।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামি মেহেদী হাসান, রিপন, কবুতর রাব্বি, পাপেল, হৃদয়, রবিন, সোহাগরা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। আসামি মেহেদী হাসান তাঁদের দলনেতা। আসামিরা মেহেদীর কাছ থেকে গাঁজা নিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় খুচরা বিক্রি করে মেহেদীর কাছে টাকা জমা দিতেন। তবে রিপন ও রাব্বি টাকা দিতে পারেননি।
কারণ তাঁদের টাকা কিছু মাস্তান জোরপূর্বক নিয়ে যায় বলে তাঁরা মেহেদীকে জানান। আসামি মেহেদী হাসান তখন তাঁর লোকজনদের এ রকম পরিস্থিতি হলে সবাইকে একসঙ্গে প্রতিহত করার জন্য বলেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

