
নোভাক জোকোভিচ
অপেক্ষার অবসান। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন জিতে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০২১-এর ১১ জুলাই তা যেন একটা বৃত্ত সম্পূর্ণ করল।
মাত্তেয়ো বেরেত্তিনিকে হারিয়ে ষষ্ঠ উইম্বলডন খেতাব জিতলেন নোভাক জোকোভিচ। টানা তিন বার। কিন্তু এই পরিসংখ্যান এবার গুরুত্বপূর্ণ নয়। সব থেকে তাৎপর্য্যপূর্ণ হল, তিনি ছুঁয়ে ফেললেন টেনিস ইতিহাসের অন্যতম দুই সেরা খেলোয়াড় রজার ফেডেরার, রাফায়েল নাদালের ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রেকর্ডকে।
যদিও রবিবার উইম্বলডন না জিতলেও জোকোভিচের কিছু যায় আসত না। ফেডেরার, নাদাল যখন কেরিয়ারের একেবারে শেষের দিকে, তখন জোকোভিচের হাতে এখনও অনেক সময় রয়েছে। ২০টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জেতার পর তিনি কোথায় গিয়ে থামবেন সেটা কেউ জানেন না। এ বছরের শেষ গ্র্যান্ড স্ল্যাম ইউএস ওপেন জিতলেই দুই খেলোয়াড়কে টপকে যাবেন জোকোভিচ। ফলে বাকিদের থেকে এগিয়ে ছা.গ.ল. (G.O.A.T. - গ্রেটেস্ট অব অল টাইম) হওয়া তাঁর কার্যত নিশ্চিত।
প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার লড়াইয়ে জোকোভিচ ৬-৭, (৪-৭), ৬-৪, ৬-৪, ৬-৩ গেমে হারালেন ইটালির বেরেত্তিনিকে। তবে হেরে গেলেও মন ছুঁয়ে থাকল বেরেত্তিনির খেলা। গোটা ম্যাচ জুড়ে জোকোভিচের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু সার্বিয়ার খেলোয়াড়ের অভিজ্ঞতা এবং নৈপুণ্যের কাছে হার মানতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।
বেরেত্তিনির ব্যাকহ্যান্ড নেটে আছড়ে পড়া মাত্রই র্যাকেট ফেলে দিয়ে ঘাসের কোর্টে শুয়ে পড়লেন জোকোভিচ। কিছুক্ষণ পরেই উঠে দাঁড়িয়ে ছুটে গেলেন নিজের কোচিং বক্সের দিকে। এতক্ষণ সেখানে উৎকণ্ঠায় সময় কাটাচ্ছিলেন গোরান ইভানিসেভিচ এবং মারিয়ান ভাজদা। দু’জনকেই জড়িয়ে ধরলেন জোকোভিচ।
উইম্বলডন জিতলেই কোর্টের ঘাস ছিঁড়ে মুখে নিয়ে চিবোতে দেখা যায় তাঁকে। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। র্যাকেট দিয়ে দিলেন এক খুদে ভক্তকে। এরপর উইম্বলডনের বিখ্যাত বল রুমে গিয়ে দেখা করলেন প্রিন্স চার্লস এবং কেটের সঙ্গে।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি