
উন্মোচন করা হয়েছে ২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের বল। গতকাল (৩ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ্যে আনা হয় বলটি। আসন্ন বিশ্বকাপের এই বলের নামকরণ করা হয়েছে – ‘ট্রাইয়োন্ডা।’
প্রতিটি প্যানেলে আয়োজক তিন দেশের ঐক্য ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলটির নকশায়। যুক্তরাষ্ট্রের তারকা, কানাডার ম্যাপল পাতার প্রতীক এবং মেক্সিকোর ঈগল। তিন দেশের প্রতীকী বন্ধনকে তুলে ধরতে লাল, নীল ও সবুজ রঙ মিলিয়ে তৈরি করা হয়েছে এর ত্রিভুজাকৃতি কেন্দ্রীয় নকশা।
এই বলের সবচেয়ে নতুন সংযোজন হলো চিপ সংযোজন। যা কিনা এই বলের প্রতিমুহূর্তের রিয়েল-টাইম তথ্য পাঠাবে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারি (ভিএআর) সিস্টেমে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সাহায্যে প্রাপ্ত তথ্য ব্যবহার করে রেফারিরা দ্রুত অফসাইড ও হ্যান্ডবলসহ গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।
২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের জন্য তৈরি করা হয়েছে অ্যাডিডাসের নতুন বল ‘ট্রিওন্ডা’। সোনালি ডিটেইলে সজ্জিত এই বলটিতে রয়েছে উন্নত এরোডাইনামিক ডিজাইন ও গভীর সেলাই, যা খেলায় বলের ভাসমানতা ও স্থিতিশীলতা বাড়াবে বলে জানিয়েছে প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি।
বিশ্বকাপের ইতিহাস ঘেঁটে দেখা যায়, ১৯৩০ সালে উরুগুয়ে আসর থেকে শুরু করে প্রতিটি বিশ্বকাপে ব্যবহার হয়েছে ভিন্ন বল। সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে প্রতিটি সংস্করণেই যুক্ত হয়েছে আধুনিক প্রযুক্তি ও আয়োজক দেশের সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য।
২০০২ সালের কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে ‘ফিভারনোভা’ দিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল প্রযুক্তির নতুন যুগের, যা ফুটবল বলের নকশা ও পারফরম্যান্সে এনেছিল বিপ্লব। সেই ধারাবাহিকতায় এবার ‘ট্রিওন্ডা’ বলটিকে ধরা হচ্ছে আরেকটি যুগান্তকারী সংযোজন হিসেবে।
উল্লেখ্য, ২০২৬ সালের ফুটবল বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হবে উত্তর আমেরিকার তিনটি দেশ—যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোর মোট ১৬টি শহরে। টুর্নামেন্ট শুরু হবে আগামী বছরের ১১ জুন, আর ফাইনাল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ১৯ জুলাই।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম