শুক্রবার,

০৩ অক্টোবর ২০২৫,

১৮ আশ্বিন ১৪৩২

শুক্রবার,

০৩ অক্টোবর ২০২৫,

১৮ আশ্বিন ১৪৩২

Radio Today News

এশিয়া কাপে তুমুল বিতর্কের পর

‘পাকিস্তানের কখনোই ভারতের বিপক্ষে খেলা উচিত নয়’

প্রকাশিত: ২২:০৬, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

Google News
‘পাকিস্তানের কখনোই ভারতের বিপক্ষে খেলা উচিত নয়’

এশিয়া কাপে তুমুল বিতর্কের পর অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বললেন পাকিস্তানের সাবেক দুই ক্রিকেটার কামরান 

পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির কাছ থেকে এশিয়া কাপের ট্রফি নিতে ভারত অস্বীকৃতি জানানোর পর পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে চলছে তীব্র সমালোচনা। দেশটির সাবেক ব্যাটসম্যান কামরান আকমল বলেছেন, পিসিবির অবিলম্বে ঘোষণা দেওয়া উচিত যে তারা আর কখনও ভারতের বিপক্ষে খেলবে না।

এবারের এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে তিনবার হারিয়ে ট্রফি জিতে নেয় ভারত। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীর তিন ম্যাচে পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে ভারতীয় ক্রিকেটারদের হাত না মেলানো থেকে শুরু করে নানা ঘটনাপ্রবাহে আসরজুড়েই পরিস্থিতি ছিল উত্তপ্ত। সেই উত্তেজনার আগুনে যেন ঘি পড়ে ফাইনালের ট্রফি নিয়ে নতুন বিতর্কে।

দুবাইয়ের ফাইনালে রোববার রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে পাকিস্তানকে ৫ উইকেটে হারায় ভারত। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দলকে ট্রফি ও প্রাইজমানির চেক দেওয়ার কথা নাকভির, যিনি একই সঙ্গে পিসিবির চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও। ভারতীয় দলের চাওয়া ছিল, নাকভি ছাড়া অন্য কারও কাছ থেকে পুরস্কার নেবেন তারা। কিন্তু পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের রানার্সআপের মেডেল দেওয়া হলেও চ্যাম্পিয়ন দলের ট্রফি ও ক্রিকেটারদের মেডেল শেষ পর্যন্ত দেওয়া হয়নি।

এআরওয়াই নিউজের সঙ্গে আলাপে এশিয়া কাপের সময় ভারতের কর্মকাণ্ড ও নিয়ম মেনে না চলার সমালোচনা করেন আকমল। অন্য ক্রিকেট বোর্ডগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

“পাকিস্তান বোর্ডের অবিলম্বে বলা উচিত যে, ‘আমরা কখনোই ভারতের বিপক্ষে খেলব না।’ দেখা যাক আইসিসি কী পদক্ষেপ নেয়। এর পরে আর কী প্রমাণের প্রয়োজন আছে? কিন্তু বিসিসিআইয়ের ব্যক্তি আইসিসিকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন (ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাবেক সচিব জয় শাহ এখন আইসিসির চেয়ারম্যান), তিনি কীভাবে কোনো পদক্ষেপ নেবেন?”

“অন্য বোর্ডগুলোকে একত্রিত হতে হবে। ক্রিকেট কারো ঘরে খেলা হয় না। যদি অন্যরা তাদের (ভারত) বিপক্ষে না খেলে, তাহলে অর্থ আসবে না। এই বিষয়গুলো যত তাড়াতাড়ি নিয়ন্ত্রণ করা যায়, সবার জন্য ততই ভালো। পাকিস্তান ও ভারতকে বাইরে রেখে একটি নিরপেক্ষ সংস্থা গঠন করতে হবে, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ডের একটি কমিটি তৈরি করতে হবে এবং এই টুর্নামেন্টে যা কিছু ঘটেছে তার ভিত্তিতে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে, তার সিদ্ধান্ত নিতে হবে তাদের।”

নিজেদের এসব কর্মকাণ্ডে ভারত ক্রিকেটেরই ক্ষতি করেছে বলে মনে করেন পাকিস্তানের হয়ে আড়াইশর বেশি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা আকমল।

“ভারতের কাছ থেকে এই অসম্মানজনক আচরণ আমরা দেখতেই থাকব। এই টুর্নামেন্টে আমরা দেখেছি, তারা যতটা সম্ভব ক্রিকেটের ক্ষতি করেছে। পিসিবি ও এসিসি সভাপতি সঠিক অবস্থানই নিয়েছেন, ট্রফি নিন বা না নিন, এটা কেবল সভাপতিই দেবেন। ভারত ক্রিকেট বিশ্বের রসিকতায় পরিণত হবে।”

ভারতের আচরণের সমালোচনা করেছেন পাকিস্তানের আরেক সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলিও। তিনিও অন্য বোর্ডগুলোকে এক হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন।

“সকল বোর্ডকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভারতের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে ক্রিকেট পরিচালিত হয় সম্প্রচারকদের মাধ্যমে। পাকিস্তান ও ভারত ম্যাচ থেকে তারা সবচেয়ে বেশি অর্থ পায়। যদি পাকিস্তান বলে যে, আমরা ভারতের সঙ্গে খেলব না, তাহলে সম্প্রচারকরা রাস্তায় নেমে আসবে।”

“মাঠে ভারত জিতেছে, কিন্তু বাইরে তারা হেরেছে। তারা হয়তো এসব করার পরিবর্তে টুর্নামেন্ট খেলতে নাও আসতে পারে। কে কুখ্যাত হবে? শুধুমাত্র পুরো ভারত। আমি জানি ভারতে এমন বিচক্ষণ মানুষ আছে যারা আওয়াজ তুলবে।”

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের