শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৬ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

বিজিএমই নেতৃবৃন্দের সাথে বৈঠকে বন্দর চেয়ারম্যান

৪ দিনের মধ্যে কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া হলে তা বেসরকারি ডিপোতে পাঠানো হবে না

চট্টগ্রাম প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০১:০৪, ১৮ আগস্ট ২০২১

আপডেট: ০১:৪৮, ১৮ আগস্ট ২০২১

Google News
৪ দিনের মধ্যে কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া হলে তা বেসরকারি ডিপোতে পাঠানো হবে না

চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান বলেছেন, আমদানি হওয়ার চারদিনের মধ্যে কন্টেইনার ডেলিভারি নেয়া হলে সেই পন্য বেসরকারি কন্টেইনার ডিপোতে পাঠানো হবে না।

পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসানের নেতৃত্বে সংগঠনটির ২২ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সাথে মঙ্গলবার  মতবিনিময়কালে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল এম শাহজাহান এসব কথা বলেন।

বন্দর ভবনের সম্মেলন কক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে রপ্তানি কনটেইনারের সংকট ও রপ্তানি প্রক্রিয়া দ্রুততর করার বিষয়ে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় তিনি বলেন, যত দ্রুততার সাথে পন্য খালাস করা হবে বন্দরের কাযক্রমও তত গতি পাবে। করোনা মহামারীর মধ্যে বিশ্বব্যাপী জাহাজ চলাচলে যে সংকট দেখা দিয়েছিলো  কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে তা অনেকটা কাটিয়ে উঠা গেছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

মতবিনিময় কালে বন্দর চেয়ারম্যান বলেন, "চট্টগ্রাম বন্দরের কাজ হলো ২৪ ঘন্টা সেবা দেওয়া। সেটি আমরা করোনার সময়ও দিয়ে আসছি কনটেইনারের বৈশ্বিক সংকটে রপ্তানি বাণিজ্য যখন বাধাগ্রস্ত হচ্ছিল তখন আমরা সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে এর সমাধান বের করার চেষ্টা করেছি, চিঠি দিয়েছি। এর ফলে সুফল মিলেছে।" এখন রপ্তানি বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়ে আসছে, উল্লেখ করেন বন্দর চেয়ারম্যান এম শাহজাহান।

বিজিএমইএ নেতৃবৃন্দের প্রতি অনুরোধ জানিয়ে তিনি  বলেন, ‘আমদানি কনটেইনার বন্দরে আসার পর যত দ্রুত সম্ভব খালাস করে নিয়ে যেতে হবে। কনটেইনার বন্দরে পড়ে থাকলে সমস্যার সৃষ্টি হয়। । তাই যত কম সময়ে কনটেইনার খালাস হবে বন্দরের কাজের গতি তত বেশি হবে।’

তিনি বিজিএমই নেতৃবৃন্দকে সমুদ্রপথে ক্রেতা দেশসমূহে সরাসরি জাহাজ চালুর বিষয়ে এমএলও’দের সাথে আলোচনা করা, বায়ারদের পণ্য পরিবহনে নির্দিষ্ট শিপিং লাইন নির্ধারণ না করা ও ২৪ ঘন্টা কাট অফ টাইমের মধ্যে পণ্য বন্দরে পৌঁছানোর অনুরোধ করেন।

বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, "করোনা শুরুর আগে ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে আমাদের রপ্তানি ছিল ৩৪ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার। আর ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে তা ৬ বিলিয়ন ডলার কমে হয়েছে ২৮ বিলিয়ন ডলার। সর্বশেষ অর্থবছরে এ খাত কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রপ্তানি হয়েছে ৩৪ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। সরকারের সহযোগিতা ও চট্টগ্রাম বন্দরের নিরবচ্ছিন্ন সহযোগিতার ফলেই আমরা এটি অর্জন সম্ভব হয়েছে।"

বিজিএমইএ সভাপতি আরো বলেন, ‘পোশাক রপ্তানির ক্ষেত্রে যে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে, সেটি সমাধানে আমরা শিপিং লাইন ও বায়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর এদেশিয় প্রধানদের সাথে আলাপ-আলোচনা করছি। যাতে কোনো একটি শিপিং লাইনকে পণ্য পরিবহনে নির্দিষ্ট করে দেওয়া না হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরে কোন জট নেই বলে বিভিন্ন দেশের বায়ারদের অবহিত করা হয়েছে বলেও জানান বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান।

মতবিনিময় সভার শুরুতে বন্দরের বর্তমান কার্যক্রম তুলে ধরে পরিচালক (পরিবহন) এনামুল করিম বলেন, গত ১৫ দিন অর্থাৎ ১ থেকে ১৫ আগস্ট পর্যন্ত অন অ্যারাইভল বার্থিং পাচ্ছে কনটেইনারবাহী জাহাজ। যেখানে কলম্বো ও সিঙ্গাপুর বন্দরে বার্থিং করতে ৭দিন, চীনে ১০ থেকে ১২ দিন ও আমেরিকার বন্দরগুলোতে ২০ থেকে ২২ দিন লাগছে।এসময় কনটেইনারবাহী জাহাজ না থাকায় কার্গোবাহী জাহাজের পণ্যও খালাস করা হচ্ছে কনটেইনার জেটিতে।

এসময় তিনি আরো জানান, ১৮ জুলাই বেসরকারি আইসিডিগুলোতে রপ্তানি কনটেইনার ছিল ১৭ হাজার ৯৬টি আর খালি কনটেইনার ছিল ২৮ হাজার ২৯৬টি। সেখানে ১৫ আগস্ট এ সংখ্যা কমে রপ্তানি পণ্যবাহী কনটেইনারের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৬৬০টিতে আর খালি কনটেইনার আছে ৪০ হাজার ১০টি।
 
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন বিজিএমইএ’র ১ম সহসভাপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, সাবেক প্রথম সহ-সভাপতি নাছির উদ্দিন চৌধুরী , মঈনউদ্দিন আহমেদ মিন্টু, সাবেক পরিচালক অঞ্জন শেখর দাশ।

সভায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সদস্য (প্রশাসন ও পরিকল্পনা) মো. জাফর আলম, সদস্য (অর্থ) মো. কামরুল আমিন, সদস্য (প্রকৌশল) কমডোর এম নিয়ামুল হাসান, সদস্য (হারবার ও মেরিন) কমডোর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পরিচালক (প্রশাসন) মো. মমিনুর রশিদ, পরিচালক (নিরাপত্তা) লে. কর্ণেল মোস্তফা আরিফ-উর রহমান খান, প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস রেজা, সচিব ওমর ফারুক, প্রধান প্রকৌশলী (যান্ত্রিক) আমিনুল ইসলাম ও টার্মিনাল ম্যানেজার মো. কুদরত ই-খুদা মিল্লাত।

 

রেডিওটুডে নিউজ/এসএন/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের