বিশ্ববাজারে স্বর্ণের দামে সামান্য পতন দেখা গেছে। মার্কিন ফেডারেল রিজার্ভের সম্ভাব্য সুদের হার কমানোর ঘোষণা এবং ভবিষ্যৎ নীতিগত দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় থাকা বিনিয়োগকারীদের কারণে এমন পতন হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বিপরীতে রুপা বা সিলভার শিল্পক্ষেত্রে বাড়তি চাহিদা ও সরকারি ঘোষণার প্রভাবে নতুন রেকর্ড গড়ে সর্বোচ্চ দামে পৌঁছেছে। খবর সিএনবিসি নিউজের।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টা ১৩ মিনিট পর্যন্ত স্পট গোল্ডের দাম ০.৪ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪,১৯৩.১১ ডলারে নেমে আসে। একই সময়ে ফেব্রুয়ারি ডেলিভারির জন্য মার্কিন সোনার ফিউচার ০.৩ শতাংশ কমে আউন্সপ্রতি ৪,২২১.৬০ ডলারে লেনদেন হয়।
অন্যদিকে, স্পট সিলভার ০.৭ শতাংশ বেড়ে আউন্সপ্রতি ৬১.১১ ডলারে দাঁড়ায়, যা দিনের শুরুতে ৬১.৬১ ডলার ছুঁয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ মূল্য স্পর্শ করে। চলতি বছর রুপার দাম মোট ১১২ শতাংশ বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দাম ওঠানামা করলেও, দীর্ঘমেয়াদে মূল্যবৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখছে আরবিসি ক্যাপিটাল মার্কেটস। প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, নরম আর্থিক নীতি এবং বাজেট ঘাটতি বৃদ্ধি—এসব কারণে আগামী বছরগুলোতে সোনার মূল্য আরও বাড়বে।
প্রতিষ্ঠানের পূর্বাভাস অনুযায়ী—২০২৬ সালে সোনার গড় মূল্য আউন্সপ্রতি ৪,৬০০ ডলারে পৌঁছাতে পারে এবং ২০২৭ সালে এই মূল্য বেড়ে আউন্সপ্রতি গড়ে ৫,১০০ ডলারে উন্নীত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, বৈশ্বিক অনিশ্চয়তা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদের হার কমানোর প্রবণতা অব্যাহত থাকলে, বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে সোনাতেই আস্থা রাখবেন, যা এর মূল্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

