
পবিত্র ঈদুল আযহা-২০২৫ উপলক্ষে দেশের এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতে রেকর্ডসংখ্যক কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষিত হয়েছে।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন (বিসিক)-এর কার্যকর উদ্যোগ ও স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতির ফলে এবার এসব প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে ১৩ লাখ ৮ হাজার চামড়া সংরক্ষণ করেছে, যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ছয়গুণ বেশি।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বিসিক স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রম গ্রহণ করে। এর মধ্যে ছিল লবণের মজুত নিশ্চিতকরণ, সঠিকভাবে চামড়া ছাড়ানো, সংগ্রহ ও সংরক্ষণ পদ্ধতি সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধি। এ লক্ষ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন, পত্রিকা এবং লিফলেট বিতরণের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচার চালানো হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয় জানায়, লবণ দিয়ে চামড়া সংরক্ষণের মাধ্যমে যাতে উপযুক্ত মূল্য পায় সেজন্য সরকার এই প্রথম এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোর চাহিদা অনুযায়ী বিনামূল্যে লবণ সরবরাহ নিশ্চিত করেছে। সরকারের এ বিশেষ উদ্যোগের ফলে গতবছর এতিমখানা ও লিল্লাহ বোডিংগুলোতে যেখানে ২.০৯ লক্ষ চামড়া সংরক্ষণ করেছিলো, সেখানে এ বছর ৯৩৩০ টি প্রতিষ্ঠান প্রাথমিক হিসাবে ১৩.০৮ লক্ষ চামড়া সংরক্ষণ করেছে। এছাড়া দেশব্যাপী আড়তদার, ব্যবসায়ী, ট্যানারি মালিকগণ স্ব স্ব ব্যবস্থাপনায় নিজস্ব অর্থায়নে লবণ সংগ্রহ করে চামড়া সংরক্ষণ করেছে। ২০২৫ সালে পশুর চাহিদা অনুযায়ী চামড়া সংরক্ষণে লবণের প্রয়োজন ধরা হয়েছিল ৬১ হাজার ৭৪৮ মে.টন। সে অনুযায়ী স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের মজুত করা হয়েছিল ৯৩ হাজার ২২৯ মে. টন। জেলায় চামড়া সংরক্ষণের জন্য লবণের পর্যাপ্ত মজুদ ছিলো, কোথাও কোন ঘাটতি ছিলো না। তাসত্ত্বেও দেশের কয়েকটি স্থানে কিছু বিছিন্ন ঘটনার খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে যা অনভিপ্রেত ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
কিছু মৌসুমি ব্যবসায়ী কর্তৃক চামড়ার লবণ না দিয়ে আড়তদাতদের কাছে বেশি দামে বিক্রি করার জন্য দীর্ঘ সময় ধরে দরকষাকষি ও আড়তদারগণ কর্তৃক চামড়া ক্রয় অনিহা প্রকাশ করায় মূল্যবান চামড়া নষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
এ বছর সাভার ট্যানারি নগরস্থ সিইটিপিতে প্রয়োজনীয় কেমিক্যাল মজুদ, ইঞ্জিনের ওভারহলিং ও পুকুর খননসহ অন্যান্য প্রস্তুতিমূলক কাজ আগেই সম্পন্ন করা হয়েছে।
কোরবানিকৃত পশুর মাথা, লেজ ও অন্যান্য অংশ ডাম্পিং ইয়ার্ড ও অন্যান্য স্থানে না ফেলার জন্য আগেই সকল ট্যানারি মালিকগণকে নির্দেশনা দেয়া হয়। ৮ টি প্রতিষ্ঠানকে ট্যানারির বাইরে নিয়ে বিক্রি করার অনুমতিও দেয়া হয়। লক্ষ্য করা গেছে যে, অল্প কিছু মাথা লেজ ইত্যাদি নদীর পাড়ে ফেলেছে শিল্পনগরী ও সিইপিটির অজ্ঞাতসারে। আর যাতে কেউ এগুলো কোথাও ফেলতে না পারে সেজন্য সতর্কতা অবলম্বন করা হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম