শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

শুক্রবার,

২৬ এপ্রিল ২০২৪,

১৩ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

পাওয়া যায়নি সরকারি সহায়তা

সাঁথিয়ার বড়বিলে নিজেদের অর্থায়নে কচুরিপানা নিধন 

জহুরুল ইসলাম, পাবনা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৩:৫৫, ২৮ মে ২০২৩

আপডেট: ১৩:৫৮, ২৮ মে ২০২৩

Google News
সাঁথিয়ার বড়বিলে নিজেদের অর্থায়নে কচুরিপানা নিধন 

পাবনার সাঁথিয়ায় এলাকাবাসীর নিজ অর্থায়নে চলছে কচুরিপানা নিধন। উপজেলার গৌরীগ্রাম ইউনিয়নের ঘুঘুদহ বড়বিলের অনাবাদি কৃষি জমির কচুরিপানা নিধনে বিষ প্রয়োগ শুরু করেছেন এলাকার কৃষকেরা। সরকারিভাবে কচুরিপানা অপসারণের জন্য সহযোগিতা না পেয়ে অবশেষে নিজেরাই নিজস্ব অর্থায়নে এ নিধনকার্য করছেন বলে জানান তারা।

ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান,ঘুঘুদহ বড়বিলে প্রায় ২ হাজার ৮০০ বিঘা জমি আছে। এর মধ্যে প্রায় ৫০০ বিঘা জমি এ বছর কচুরিপানার কারণে অনাবাদি রয়েছে। তাই এলাকার কৃষকেরা ৫০ হাজার টাকা চাঁদা তুলে বিষ কিনে জমিতে গতকাল শনিবার (২৭মে) ২০টি বিষ প্রয়োগের স্প্রেযন্ত্র দ্বারা প্রায় ১৩০ বিঘা জমিতে কচুরিপানা ও আগাছা নিধনের জন্য বিষ প্রয়োগ করেছেন। বাকি ৩৭০ বিঘা জমিতেও পর্যায়ক্রমে বিষ প্রয়োগ করা হবে বলেও জানান তারা।

সূত্রমতে,প্রতিবছরই অনেক জমি কচুরিপানার কারণে অনাবাদি থাকে বলে অভিযোগ তাদের। ঘুঘুদহ গ্রামের কৃষক মোজাম্মেল হক রেডিও টুডেকে জানান,"এই বিলে আমার আড়াই বিঘা জমির মধ্যে দুই বিঘা জমিই কচুরিপানার কারণে অনাবাদি রয়েছে। আবাদ করতে না পারায় অনেক কষ্টে সংসার চালাতে হচ্ছে।সরকারিভাবে কচুরিপানা অপসারণ করা হলে আমার মতো অনেক ক্ষুদ্র কৃষকেরা উপকৃত হবে।" কৃষক মনসুর আলম বলেন,"আমার মতো অনেক কৃষকের এই বিলে অনেক জমি অনাবাদি রয়েছে। আগামীতে আবাদ করার জন্য আমাদের এই উদ্যোগ। কিন্তু এতো জমির কচুরিপানা নিজেদের উদ্যোগে অপসারণ করা সম্ভব নয়। তাই সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছি।"

এ ব্যাপারে গৌরীগ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব মাষ্টার বলেন, "ঘুঘুদহ বড়বিলের অনাবাদি জমির কচুরিপানা ও আগাছা নিধনের জন্য কৃষকদের নিজ উদ্যোগে বিষ প্রয়োগ করা হয়েছে। এ কাজের উদ্বোধন করার জন্য আমাকে অতিথি করায় কৃষকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি"। সাঁথিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জীব কুমার গোস্বামী বলেন,"কচুরিপানা অপসারণের জন্য ওই এলাকার কৃষকেরা আমার দপ্তরে এসেছিল। তাদেরকে বলা হয়েছে, কচুরিপানা অপসারণের জন্য সরকারিভাবে আমাদের কাছে কোন অর্থ বরাদ্দ নেই। কৃষকদের ব্যক্তিগত ও সমন্বিতভাবে কচুরিপানা পরিস্কার করতে হবে। তবে কৃষকেরা নিজ উদ্যোগে কাজটা শুরু করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এ ছাড়া সরকারিভাবে অপসারণের জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি আমি অবহিত করবো।"

রেডিওটুডে/এমএমএইচ

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের