শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪,

১৪ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২৭ এপ্রিল ২০২৪,

১৪ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

সিলেটের ভয়াবহ দুর্ঘটনা বেঁচে ফেরা নির্মাণশ্রমিকের বর্ণনায়

প্রকাশিত: ১৩:৫৮, ৭ জুন ২০২৩

Google News
সিলেটের ভয়াবহ দুর্ঘটনা বেঁচে ফেরা নির্মাণশ্রমিকের বর্ণনায়

সিলেটের ভয়াবহ দুর্ঘটনা বেঁচে ফেরা নির্মাণশ্রমিকের বর্ণনায়

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় এলাকায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়া তরুণ নির্মাণশ্রমিক পল্লব আহমদ (২৫) ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে ভয়াবহ এই দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন তিনি।

পল্লব বলেন, 'ঢাকার দিক থেকে আসা ট্রাকটি যখন ডান পাশে এসে আমাদের পিকআপটিকে ধাক্কা দেয়, তখন খুব জোরে শব্দ হয়। ট্রাকটি দ্রুতবেগে আসছিল। মনে হয় চালক ঘুমিয়ে ছিলেন। সজোরে ধাক্কা খেয়ে আমাদের পিকআপটি উল্টে যায়। আমি মাথায় আঘাত পাই। এরপর আমার আর কিছু মনে নেই।'

আহত পল্লব সুনামগঞ্জের দিরাই নামক উপজেলার ভাটিপাড়ার বাসিন্দা। বর্তমানে সিলেট নগরের সাপ্লাই নামক এলাকায় থাকেন তিনি।

এদিকে, সিলেটে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় এ পর্যন্ত সর্বশেষ ১৫ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। এদের মধ্যে ঘটনাস্থলে মারা যান ১১ জন। আর আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিলে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। তবে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, 'সিলেট মহানগর থেকে পিকআপভ্যানে করে প্রায় ৩০ জন নির্মাণশ্রমিক জেলার ওসমানীনগর উপজেলার গোয়ালাবাজার যাচ্ছিলেন। সকাল সাড়ে ৫টার দিকে দক্ষিণ সুরমার নাজিরবাজার এলাকার কুতুবপুর নামক স্থানে পৌঁছালে মুনশীগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা সিলেটগামী বালুবাহী ট্রাকের সঙ্গে শ্রমিক বহনকারী পিকআপের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই ১১ জন মারা যান।'

খবর পেয়ে সেখানকার দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশ এবং সিলেট ও ওসমানীনগরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন থেকে একাধিক ইউনিট ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে হতাহতদের উদ্ধার করে এবং ওসমানী হাসপাতালে পাঠায়।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সিলেটের উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান জানান, 'সিলেট ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স উপ-পরিচালক মনিরুজ্জামান বলেন, আমরা খবর পেয়েই ঘটনাস্থলেই ছুটে আসি। সকাল ৭টা পর্যন্ত ১১ জনের মৃতদেহ ও অন্তত ১০ জন গুরুতর আহতকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আমরা আসার আগে স্থানীয়রা আরও আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠিয়েছেন। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।'

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের