ছবিঃ রেডিও টুডে
রাজবাড়ী সদর উপজেলার মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা সরকারি গাছের গুঁড়ি হঠাৎই গায়েব হয়ে গেছে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা জানান, চলতি বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি রাতে মুলঘর ইউনিয়নের বাঘিয়া গ্রামে এলজিইডি সড়কের পাশে আরশেদের বাড়ির কাছ থেকে রাতে তিনটি সরকারি মেহগনি গাছ কেটে বিক্রির চেষ্টা করেন শাহিরুল নামে এক ব্যক্তি। খবর পেয়ে সেই গাছের গুঁড়ি মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওহিদুজ্জামানের জিম্মায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাখেন তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মার্জিয়া সুলতানা।
অপরদিকে, চলতি বছরের ২২ এপ্রিল রাতে মুলঘর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশ থেকে বড় আকৃতির দুটি চাম্বল গাছ কাটেন মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার আব্দুল জলিল ও বর্তমান মেম্বার আরশেদ আলী। খবর পেয়ে সেই গাছের গুঁড়ি মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওহিদুজ্জামানের জিম্মায় ইউনিয়ন পরিষদের সামনে রাখেন তৎকালীন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরজাহান আক্তার সাথী।
এরপর থেকে মেহগনি ও চাম্বল গাছের গুঁড়িগুলো ইউনিয়ন পরিষদের সামনে সড়কের পাশে রাখা ছিল। তবে গত ৪-৫ দিন আগে হঠাৎই গাছের গুঁড়িগুলো গায়েব হয়ে যায়।
মুলঘর ইউনিয়নের ভগিরথপুর গ্রামের আব্দুর রহমান সরদার ও ভৈরবকোল গ্রামের আকবার প্রামাণিক বলেন, তিনটি স্তূপে কিছু মেহগনি গাছ ও কিছু চাম্বল গাছের গুঁড়ি ছিল। ৪-৫ দিন আগে একদিন সকালে দেখি এখানে গাছের গুঁড়িগুলো নেই। এগুলো কে নিয়েছে বা কীভাবে নিয়েছে আমরা জানি না।
স্থানীয় আব্দুল লতিফ নামে এক ব্যক্তি বলেন, গাছের গুঁড়িগুলোতে প্রায় ১০০ সিএফটি কাঠ হবে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় এক লাখ টাকা। হঠাৎ করেই ইউনিয়ন পরিষদের সামনে থেকে গুঁড়িগুলো গায়েব হয়ে গেল। চেয়ারম্যান এ দায় এড়াতে পারেন না।
এ বিষয়ে মুলঘর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওহিদুজ্জামান বলেন, ‘কয়েকদিন আগে পরিষদের ফরিদ মেম্বার আমাকে জানায় পরিষদের সামনে রাখা গাছের গুঁড়িগুলো দেখা যাচ্ছে না। কে বা কারা গুঁড়ি নিয়েছে আমি জানি না। তবে আমি গাছের গুঁড়িগুলো উদ্ধারের চেষ্টা করছি। ইনশা আল্লাহ্ আমি গুঁড়িগুলো উদ্ধার করতে পারবো।’
বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজবাড়ী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সারমীন ইয়াছমীনের কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। তার অফিসিয়াল মোবাইল নম্বরে বেশ কয়েকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি