
মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে যাওয়া মানিব্যাগ তুলতে গিয়ে সোহেল মিয়া নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনার সময় সোহেলকে উদ্ধার করতে গিয়ে আহত হয়েছেন তাঁর ছোট ভাই ইমন মিয়া (২২)। খবর পেয়ে তাঁদের উদ্ধার করে জুড়ি ফায়ার সার্ভিসের একটি দল। গতকাল বুধবার রাতে গোয়ালবাড়ি ইউনিয়নের ডোমারবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল মিয়া (২৪) ডোমারবাড়ি গ্রামের মোজাম্মেল আলীর ছেলে। তিনি পেশায় রাজমিস্ত্রি ছিলেন।
জানা যায়, সোহেল ঘটনার রাতে ঘরের বাইরে টয়লেটে যান। এ সময় তাঁর মানিব্যাগ সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে যায়। তখন তিনি মানিব্যাগটি তুলতে সেপটিক ট্যাঙ্কে নামেন। বেশ কিছু সময় অতিবাহিত হওয়ার পরও সোহেল ঘরে ফিরে না আসায় তাঁকে খুঁজতে বের হন ইমন। এ সময় ইমন সেখানে গিয়ে দেখতে পান তাঁর ভাই সেপটিক ট্যাঙ্কে অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তৎক্ষণাৎ সেপটিক ট্যাঙ্কে নেমে বড় ভাইকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন। এ সময় তিনিও চেতনা হারান। বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিবেশীরা জুড়ি ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। পরে জুড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে সহোদরকে উদ্ধার করে স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়। এ সময় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন। ইমনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জুড়ী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ এসএম শামীম আহমদ।
জুড়ী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা সমরজিৎ সিংহ সমকালকে জানান, গত বুধবার রাত ১০টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে দুজনকে উদ্ধার করে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষায় সোহেল নামে এক তরুণকে মৃত ঘোষণা করা হয়। আহত অপর তরুণকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম