ছবি: আব্বাস হোসেন, রেডিও টুডে প্রতিনিধি, লক্ষ্মীপুর
ঈদের আগে সরকার দাম নির্ধারণ করে দিলেও সে দামে বেচা-কেনা হচ্ছে না কোরবানির পশুর চামড়া। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা বলছেন, এ বছর চামড়ার দাম অনেক কম। যে দামে চামড়া কিনা হচ্ছে, সে দামের অর্ধেকও দামে আড়ৎদাররা নিচ্ছে না বলে অভিযোগ খুচরা বিক্রেতাদের। এতে করে লোকসানের মুখে পড়ছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা।
বিভিন্ন এলাকা থেকে চামড়া সংগ্রহ করে লক্ষ্মীপুর পৌর শহরে কালীবাজার সড়কে আসতে থাকেন মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। অড়ৎদারদের সাথে দর-দামে অনেকটাই হতাশ তারা। বাড়তি দামের আশায় ছুটছেন এক ব্যাপারীর থেকে আরেক ব্যাপারীর কাছে। কিন্তু সরকার নির্ধারিত দাম না পাওয়ায় হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। সরকার নির্ধারিত দামের অর্ধেক দামও বেচা-কিনা হচ্ছেনা চামড়া বলে অভিযোগ করেন মৌসুমী ব্যবসায়ী আবু মিয়া ও সালাউদ্দিনসহ অনেকেই।
তাদের অভিযোগ. সরকার নির্ধারিত দামে সারাদিন এলাকায় এলাকায় গিয়ে চামড়া কিনে আড়ৎদারদের কাছে নিয়ে আসার পর প্রতি চামড়া বিক্রি করতে হচ্ছে একশ থেকে তিনশ টাকা। এছাড়া ছাগলের চামড়ার দাম দিচ্ছে ১০টাকা। এতে করে লোকসানের মধ্যে পড়ছে মৌসুমী ব্যবসায়ীরা। পথে বসার মত অবস্থায় এসব খুচরা ব্যবাসায়ীদের।
আড়ৎদার দেলোয়ার হোসেন,বাবুল হোসেন ও মঞ্জুর রহমান বলেন, গত বছরের চামড়ার টাকা এখনও অনেক আড়ৎদার পায়নি। সরকার নির্ধারিত মূল্যে চামড়ার কিনার বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছেন ট্যানারি মালিকরা। চামড়ার সংগ্রহের বিষয়ে দ্বিধাদ্বন্ধে রয়েছেন তারা। এছাড়াও প্রতিবছরে লোকসানের কারনে এ ব্যবসা ছেড়ে দেয়ার কথাও ভাবছেন অনেকেই।
তবে জেলা পুলিশ সুপার ড.এএইচএম কামরুজ্জামান বলছেন, সরকার চামড়ার মূল্যে নির্ধারন করে দিয়েছে, সে অনুযায়ী চামড়া বেচা-
কিনা হবে। কোন সিন্ডিকেট করে চামড়ার দাম কমিয়ে বেচাকেনা বা পাচার করা হয়, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুশিয়ারী দেন পুলিশের এ কর্মকর্তা।
রেডিওটুডে নিউজ/ইকে