শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

শনিবার,

২০ এপ্রিল ২০২৪,

৭ বৈশাখ ১৪৩১

Radio Today News

মিতব্যয়ী হলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব : তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী

রেডিওটুডে ডেস্ক

প্রকাশিত: ০০:২২, ৩ আগস্ট ২০২২

Google News
মিতব্যয়ী হলে সংকট কাটিয়ে ওঠা সম্ভব : তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী

ফাইল ছবি

প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, দেশে যে বিদ্যুতের সংকট চলছে তা আমাদের সৃষ্ট নয়। এখন গ্যাসের বিরাট সংকট চলছে। বিভিন্ন জ্ঞানী-গুণী লোকেরা বলে থাকেন- আজকে যদি ইউক্রেন যুদ্ধ না লাগতো, তবে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। আর যদি আকাশচুম্বি দাম না হতো, তবে আপনারা টেরও পেতেন না। বাংলাদেশে গ্যাস ও বিদ্যুতের কোনো অভাব হতো না। ইউরোপের দুই দেশের যুদ্ধের খেসারত দিচ্ছি আমরা। তবে মিতব্যয়ী হলে এই সংকট থেকে উত্তরণ সম্ভব।

মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের আওতাধীন এলাকায় স্থাপিত ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

অতিরিক্ত মূল্যে আমদানি প্রসঙ্গে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, বর্তমানে আমরা সীমিত আকারে বিদ্যুৎ ও গ্যাস ব্যবহারের ওপর জোড় দিচ্ছি আমদানি কমানোর জন্য। ধরুন আগে যেই জিনিস আমরা পাঁচ টাকায় কিনেছি, এখন সেটা ৩০ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আমদানি ব্যয় বেড়েছে প্রায় ছয় গুণ। পাঁচ ডলারের গ্যাস এখন ৩০ জলারে আনতে হচ্ছে। শুধু এলএমজিতেই নয় কয়লার দামও বেড়েছে প্রায় দুই থেকে তিন গুণ। গ্যাস, ফার্নেস অয়েল, ডিজেল ও কয়লার দাম বেড়ে যাওয়ায় বর্তমানে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এতে ইউরোপিয়ানদের হাত আছে, এসব পণ্যের দাম যতদিন আকাশচুম্বি থাকবে আমাদের বিরাট চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। বিদ্যুৎ উৎপাদন করার ব্যবস্থা আমাদের আছে, গ্যাস সরবরাহের ব্যবস্থা আমাদের আছে।

তিনি বলেন, অনেকে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। এক্সেস ক্যাপাসিটি আছে, খরচ বাড়ছে এগুলো পরে হিসাবের ব্যাপার। কিন্তু এখন যে মুখ্য চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে তা হল আকাশচুম্বি দাম। আমাদের আয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। আমরা তো ইউরোপ না। আমাদের সব ধরনের ক্রেতাকে সময় মতো বিল দিতে হবে, কোনো রকম বেআইনি কিছু করা যাবে না। আপনারা কোনো ধরনের অবৈধ সংযোগ বরদাস্ত করবেন না। অবৈধ সংযোগ কমালে তার সুবিধা পাবেন বৈধ গ্রাহকরা। নারায়ণগঞ্জ যেহেতু শিল্প অঞ্চল, সেহেতু এখানে অবৈধ সংযোগ অপসারণ করা গেলে শিল্পে গ্যাসের চাপ আরও বাড়বে।

বাংলাদেশকে বড় ধরনের কোনো বিপদের সম্মুখীন হতে হবে না উল্লেখ করে তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, খাদ্যে আমরা স্বয়ং সম্পূর্ণ, সুতরাং বড় বিপদ আমাদের কাছে আসবে না। এগুলোকে যদি আমরা সুন্দরভাবে ব্যবহার করতে পারি তবে আমাদের শিল্প ও কৃষি বেঁচে থাকবে। শিল্প আর কৃষি বেঁচে থাকলে আমরাও বেঁচে থাকব, জীবনমান উন্নত হবে। আন্তর্জাতিক বাজারের দাম কবে কমবে সেটা কেউ বলতে পারবে না, যারা যুদ্ধ চালাচ্ছে তারাই বলতে পারবে। এটা কি অস্ত্র বিক্রি করার জন্য যুদ্ধ চালাচ্ছে, নাকি তেলের দাম বাড়ানোর জন্য যুদ্ধ চালাচ্ছে, আমরা জানি না। তবে লাভবান হচ্ছে তারাই, যারা তেল রপ্তানির ব্যবসা করে ও অস্ত্রের ব্যবসা করে। এগুলো করে তারা লাভবান হচ্ছে। এতে আমাদের কোনো হাত নেই, আমরা ছোট দেশ হিসেবে যদি নিজেদের গুছিয়ে রাখি, মিতব্যয়ী হই, অপচয় না করি তবে এই সংকট থেকে উত্তরণ করতে পারব।

নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মঞ্জুরুল হাফিজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তিতাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) হারুন অর রশীদ মোল্লা, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) আমির খসরু, বিকেএমইএ’র নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম প্রমুখ।

রেডিওটুডে নিউজ/এসবি

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের