
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কোনো ধরনের কারচুপি হয়নি বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ খান। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ভোটগ্রহণ শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
এর আগে সকাল ৮টায় শুরু হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলে এই ভোটগ্রহণ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সংসদে ২৮টি ও হল সংসদে ১৩ পদে ভোট দেন শিক্ষার্থীরা। নির্বাচনি ইশতেহারে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে নানা প্রতিশ্রুতি দেয়া প্রার্থীরাও আশা করেন শেষ পর্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে এই নির্বাচন। ডাকসু ও হল সংসদের নির্বাচনকে ঘিরে নির্বাচনের আগের এমন সৌহার্দ্য যেন ফলাফল ঘোষণার পরও বজায় থাকে সেই প্রত্যাশা শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের।
১৯৯০ সালের পর ২০১৯ সালে দীর্ঘ ২৮ বছর পর অনুষ্ঠিত হয়েছিল ডাকসু নির্বাচন। তবে নানা অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগে সে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। আবার ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ডাকসু নির্বাচন।
গত জুলাই মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেট ডাকসুর গঠনতন্ত্র আংশিক সংশোধন করে নতুন সময়সূচি ঘোষণা করে। এরপর ১২ আগস্ট প্রকাশিত হয় চূড়ান্ত ভোটার তালিকা। নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদের জন্য ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, যার মধ্যে ৬২ জন নারী।
পদভিত্তিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। নারী প্রার্থীর মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে ১ জন, এবং এজিএস পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন ভোটারের মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০,৮৭৩ এবং ছাত্রী ১৮,৯০২ জন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম