সালমান শাহ
নব্বই দশকের চলচ্চিত্রে সালমান শাহকে ঘিরে যে উন্মাদনা তৈরি হয়েছিল তা তার অপমৃত্যুর মধ্য দিয়ে তা শেষ হয়ে যায়। মহান নায়কের আজ ৫১তম জন্মদিন।
সিলেটের দারিয়াপাড়ায় নানাবাড়িতে ১৯৭১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন সালমান শাহ। তার বাবার নাম কমর উদ্দিন চৌধুরী ও মা নীলা চৌধুরী। দুই ভাইয়ের মধ্যে সালমান বড়। ছোট ভাইয়ের শাহরান চৌধুরী ইভান। সালমানের বিনোদনজগতে যাত্রা শুরু হয় বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে। ইস্পাহানি গোল্ডস্টার টি, জাগুয়ার কেডস, মিল্ক ভিটা, কোকাকোলা, ফানটা এবং জাগুয়ার কেডসের বিজ্ঞাপনে কাজ করেন তিনি।
১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর নিজের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন সালমান। মৃত্যুর দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও আজও তিনি সমসাময়িক। তার সিনেমা টেলিভিশনে প্রচারিত হলে অনুরাগীরা চ্যানেল পাল্টাতে পারেন না। তার প্রতি জমে থাকা আবেগ আর ভালোবাসা নিয়ে এখনো মুগ্ধ হয়ে দেখেন প্রিয় নায়কের অভিনয়। সেই নব্বই দশকের স্টাইল ও ফ্যাশন সচেতনতা আফসোস বাড়িয়ে দেয় এই সময়ে এসেও। দীর্ঘশ্বাস যেনো ভক্তকুলের আরও দীর্ঘ হয়ে যায়।
ক্ষণজন্মা এই নায়ক চার বছরের ক্যারিয়ারে ২৭টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। বেশিরভাগ সিনেমাই ছিল ব্যবসাসফল। সালমান নির্দিষ্ট শ্রেণির দর্শকের নায়ক ছিলেন না। সব ধরনের দর্শকের পছন্দের নায়ক হিসেবে গ্রহযোগ্যতা ছিল সালমানের।
সালমান শাহ ১৯৮৫ সালের দিকে হানিফ সংকেতের ‘কথার কথা’ নামের ম্যাগাজিন অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। তখন তিনি ইমন নামেই পরিচিত ছিলেন। এরপর সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মধ্য দিয়ে ‘সালমান’ নামে আবির্ভূত হন। সিনেমাটি তাকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। রাতারাতি সালমান শাহ হয়ে উঠেন ঢালিউডের রাজপুত্র।
শুধু অভিনেতাই ছিলেন না সালমান, চলচ্চিত্রে নতুন ধারার প্রবর্তকও ছিলেন তিনি।সামাজিক-অ্যাকশনধর্মী কিংবা প্রেমের ছবির নতুন একটি ধারার সঙ্গে সবাইকে পরিচিত করেছিলেন তিনি।
প্রিয় নায়কের জন্মদিনে তাকে সবাই স্মরণ করছে শ্রদ্ধা ও ভালবাসায়।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি