সংগৃহিত ছবি
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১১ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। এদিন যশোরে স্বাধীন বাংলাদেশের কোনো মুক্তাঞ্চলে প্রথমবারের মতো জনসভার আয়োজন করা হয়।
জনসভায় ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম বলেন, 'বাংলাদেশ সরকার যুদ্ধাপরাধী ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে গণহত্যাকারীদের বিচারের মুখোমুখি করবে। যারা শরণার্থী হিসেবে ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন, তারা নিজ নিজ ঘরবাড়ি ফিরে পাবেন।
জনসভায় প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদ বলেন, 'আমরা আমাদের সংগ্রাম ও ত্যাগের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আজ যশোর যেমন মুক্ত, সমগ্র বাংলাদেশও তেমন মুক্ত হবে খুব শিগগির।
এদিন অর্থাৎ ১১ ডিসেম্বর দুপুর ৩টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়। তেজগাঁও বিমানবন্দরে জাতিসংঘের অনুরোধে বিমান হামলা বন্ধ রাখে ভারতীয় বিমানবাহিনী।
১১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় যৌথ বাহিনী বগুড়া-রংপুর মহাসড়কের মধ্যবর্তী গোবিন্দগঞ্জে শক্তিশালী হানাদার ঘাঁটির ওপর আক্রমণ চালায়। সারারাত যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনী ভোরের দিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়।
আজকের দিবেই টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত হয়। যুদ্ধের পর হানাদার বাহিনী টাঙ্গাইল সার্কিট হাউজে কাদেরিয়া বাহিনীর কমান্ডার কাদের সিদ্দিকীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি থেকে হানাদার বাহিনী পালিয়ে যায় আজকের দিনে।
এগারো ডিসেম্বর ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে প্রচণ্ড সংঘর্ষের পর হানাদার বাহিনী পালিয়ে যেতে শুরু করে।
১৯৭১ সালের আজকের দিনে চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড দখল করার জন্য ক্যাপ্টেন মাহফুজের নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা এগিয়ে যান। মিত্র বাহিনী প্রবল আক্রমণ চালালে সীতাকুণ্ড ছেড়ে পালিয়ে যায় হানাদার বাহিনী।
এদিন কুমিল্লা সেনানিবাসে ভারতীয় বাহিনীর অবিরাম আর্টিলারি ফায়ারে হানাদার বাহিনী ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে চান্দিনার দিকে পালিয়ে যায়।
একাত্তরের আজকের দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আশুগঞ্জ ছেড়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়ার আগে তারা ভৈরব ব্রিজ উড়িয়ে দেয়।
রেডিওটুডে নিউজ/এসবি