১৯৯৩ সালে ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্র জগতে অভিষেক ঘটে এক নায়োকোচিত, স্টাইলিষ্ট ও লাজুক তরুনের। আরেক নবাগত চিত্রনায়িকা মৌসুমীর বিপরীতে প্রথম সিনেমায় অভিনয় করে বাজিমাত করায় দেশব্যাপী ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ে তাঁর নাম। বাংলা চলচ্চিত্রের মোড় ঘুরিয়ে দেয়া সুদর্শন-অমর এই চিত্রনায়ক সালমান শাহ।
প্রথম ছবির পর সে বছরই শাবনূরের বিপরীতে সালমান অভিনয় করেন ‘তুমি আমার’ সিনেমায়। রোমান্টিক এই জুটিকে দর্শক দারুনভাবে গ্রহণ করায় সালমান-শাবনূর কাজ করেছেন একে একে ১৪টি সুপারহিট সিনেমায়।
চলচ্চিত্র জগতে স্বর্ণালী-বর্ণালী অধ্যায় রচনা করা, নায়কদের উপমা সালমানের মোট ২৭টি দর্শকপ্রিয় সিনেমার অধিকাংশই নানান কারণে বিশিষ্ট হয়ে আছে। মাত্র তিন বছরের ক্যারিয়ারে- তোমাকে চাই, আনন্দ অশ্রু, অন্তরে অন্তরে, দেন মোহর, মহামিলন, তোমাকেই চাই, সত্যের মৃত্যু নেই, আশা ভালবাসা, চাওয়া থেকে পাওয়া ও বুকের ভেতর আগুন প্রিয় নায়কের এসব সিনেমার দৃশ্যকল্প আজো জাগিয়ে তোলে দর্শকদের একান্ত আবেগ।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের উত্তাল সময়ের ১৯ সেপ্টেম্বর সিলেটের জকিগঞ্জে বাংলা মায়ের কোলে আগমন করেন, শাহরিয়ার চৌধুরী ইমন; ক্ষনজন্মা নায়ক সালমান শাহ। আর ১৯৯৬ সালের ৬ই সেপ্টেম্বর অভিনয়ের মতোই ধ্রুবতারা হয়ে রহস্যজনকভাবে বাংলার চির সবুজ এই অভিনেতা মিলিয়ে যান জোছনালোকে।
সালমান তুমি চিরঞ্জীব; কোটি হৃদয়ে আজো অমর। ২৫ তম প্রয়াণ বার্ষিকীতে তোমার ঠিকানায় চিঠি লিখে জানাচ্ছি, আকাশের ঠিকানায় ভালো থেকো প্রিয়।
রেডিওটুডে নিউজ/জেএফ/ইকে