ফাইল ছবি
ভুলবশত কেউ বিষাক্ত কিছু খেয়ে ফেললে সঙ্গে সঙ্গে রোগীকে হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নিতে হবে। রোগী যদি এ সময় কথা বলার পরিস্থিতিতে থাকে তবে তার কাছ থেকে জেনে নিতে হবে বিষাক্ত দ্রব্যটির নাম, পরিমাণ এসব তথ্য। রোগীর শরীরে যদি কীটনাশকের অস্তিত্ব বোঝা যায় বা বমি করলে তা যদি রোগীর জামা কাপড়ে লেগে থাকে তাহলে সেটি চামড়ার মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে। তাই যত দ্রুত সম্ভব রোগীর জামা কাপড় ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
রোগী যদি ঘুমের ওষুধ বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকেন তাহলে রোগীকে বমি করানো যেতে পারে। কিন্তু অচেতন রোগী যদি কেরোসিন বা এসিড জাতীয় কিছু খেয়ে থাকেন তাহলে বমি করানো উচিত নয়। এতে বিষাক্ত দ্রব্যটি শ্বাসনালীতে সহজেই প্রবেশ করতে পারে। খাদ্যনালী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। এসব ক্ষেত্রে বমি করানোর চেষ্টা জটিলতা সৃষ্টি করতে পারে।
তবে যদি একান্তই বমি করানোর প্রয়োজন পড়ে তাহলে পানির সাথে লবণ গুলিয়ে বা কোন তিতা জিনিস খাইয়ে চেষ্টা করা যেতে পারে। তবে এসব বিষয়ে বেশি সময় নষ্ট করা উচিত নয়। যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে হাসপাতালে জরুরি বিভাগে নিতে হবে।
সচেতন রোগীর যদি অতিরিক্ত লালা বের হয় অথবা বমি হয় সেক্ষেত্রে রোগীকে বাঁ কাতে করে শুইয়ে দিতে হবে। না হলে শ্বাসতন্ত্রে প্রবেশ করে মারাত্মক অবস্থা হতে পারে। এ সময় রোগীর শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এ সময় শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা দরকার।
এস আর

