শনিবার,

২৫ মার্চ ২০২৩,

১০ চৈত্র ১৪২৯

শনিবার,

২৫ মার্চ ২০২৩,

১০ চৈত্র ১৪২৯

Radio Today News
bangas biscuit

শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে খেতে পারেন তরমুজ

রেডিও টুডে রিপোর্ট

প্রকাশিত: ০০:৫৪, ১৫ মার্চ ২০২৩

শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে খেতে পারেন তরমুজ

পানির বিকল্প হিসেবে তরমুজ খান

প্রাপ্ত বয়স্ক একজন মানুষের জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ক্লাস পানি খাওয়া উচিত। অনেক সময় আমরা এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে ব্যর্থ হই। তবে শরীরে পানির ঘাটতি পূরণ করতে আমরা পানির বিকল্প হিসেবে অন্য কিছু খেতে পারি। যেটা খেলে পানির ঘাটতি পূরণ হবে। তেমনি একটি ফল তরমুজ। গরমকালে পানির ঘাটতি মেটাতে সবচেয়ে ভালো উপায় হতে পারে তরমুজ। এছাড়াও তরমুজের রয়েছে নানাবিধ গুনাবলী

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফলটি নানাভাবে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এছাড়াও প্রোটিন যুক্ত কোষ কোলাজেনের পরিমাণ বাড়িয়ে তুলে শরীরের ক্ষত নিরাময়ে কাজ করে থাকে তরমুজ। পাশাপাশি বিটা ক্যারোটিন সমৃদ্ধ তরমুজ চুল ঝরে যাওয়া রোধসহ ত্বকের জেল্লা ধরে রাখতে দারুন ভাবে কাজ করে থাকে। সর্বোপরি পানির বিকল্প হিসেবে আমরা গরমে তরমুজ খেয়ে শরীরকে সুস্থ রাখতে পারি।

ওজন কমানোর ক্ষেত্রে

অনেকে মনে করে থাকেন তরমুজে শর্করার পরিমাণ বেশি হওয়ায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে এর কোন ভূমিকা নেই। কিন্তু পুষ্টিবিদ্যের মতে, ১০০ গ্রাম পরিমাণ তরমুজে ক্যালরির পরিমাণ মাত্র ৩০ এবং ৬.২ গ্রাম শর্করার মাত্রা। যার ফলে ওজন বেড়ে যাওয়ার কোন সুযোগই নেই। এছাড়াও তরমুজে পানির পরিমাণ এবং ফাইবার বেশি পরিমাণে থাকায় বারবার খেতে পারলে অন্যান্য খাবার খাওয়ার প্রবণতা কমে আসে।

চোখের যত্নে

তরমুজে লাইকোপিন সমৃদ্ধ যৌগ থাকাই তা চোখের যত্ন নিয়ে থাকে। বয়স জনিত কারণে চোখে যে ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে তা থেকে রক্ষা করে থাকে এই লাইকোপিন।

দাঁত এবং মাড়ির ক্ষেত্রে

ভিটামিন সি সমৃদ্ধ এই ফল দাঁত ও মাড়ির টিস্যুতে ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণ বন্ধ করে দাঁত ও মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করে থাকে। এর ফলে মাড়ি থেকে রক্ত পড়া বা মাড়ি আলগা হয়ে দাঁত পড়ে যাওয়ার মত সমস্যার হাত থেকে রক্ষা করে থাকে এই তরমুজ।

শরীরে পানির ঘাটতি পূরণে

একটি তরমুজের প্রায় ৯২ শতাংশই পানি। অনেক সময় শরীরে পানির ঘাটতির কারণে পেশীতে টান ধরে। এছাড়াও শরীর ভেতর থেকে শুষ্ক হয়ে আসে। এই ধরনের সমস্যার হাত থেকে রক্ষা পেতে তাই নিয়মিত তরমুজ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন পুষ্টিবিদরা।

এস আর

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের