শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

শুক্রবার,

২৯ মার্চ ২০২৪,

১৫ চৈত্র ১৪৩০

Radio Today News

শিশুদের ডেঙ্গুজ্বর ছাড়াও বাড়ছে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও জন্ডিস

বাকী বিল্লাহ

প্রকাশিত: ০৪:৪২, ১৩ অক্টোবর ২০২১

Google News
শিশুদের ডেঙ্গুজ্বর ছাড়াও বাড়ছে সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও জন্ডিস

ফাইল ছবি (সংগৃহীত)

রাজধানীতে শিশুদের ডেঙ্গুজ্বর ছাড়াও সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও জন্ডিসসহ বাড়ছে নানা রোগ। ঢাকার শিশু হাসপাতালে প্রতিদিন কমপক্ষে ৮শ থেকে এক হাজার শিশু বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে আবার হাসপাতালে ভর্তিও থেমে নেই। চিকিৎসাধীন অবস্থায় অনেক শিশু মারাও যাচ্ছে।

ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডাঃ সৈয়দ সফি আহমেদ বলেছেন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে এখনো ৪৮ জন শিশু ভর্তি আছে। তার মধ্যে আইসিইউতে আছে ৩ জন। শুধু ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে ৮৪৬ জন শিশু হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এরমধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে ১২জন শিশু।

নতুন করে গরম বেড়ে যাওয়ায় ডেঙ্গুজ্বর ছাড়াও শিশুরা সর্দি, কাশি, মৌসুমীজ্বর, নিউমোনিয়া, আমশা টাইফয়েডসহ নানা ধরনের পানিবাহিত রোগে শিশুরা আক্রান্ত হচ্ছে। আবার অপুষ্টিসহ নানা কারনে অনেক শিশু এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য যায়। এ সংখ্যা এখন বাড়ছে। শিশু হাসপাতালে বহিঃবিভাগে শিশু রোগীর চাপ বাড়ছে। অনেক শিশু জন্ডিসে আক্রান্ত হচ্ছে।

এ দিকে মহাখালী স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ্ ইমাজেন্সি  অপারেশন সেণ্টার ও কন্ট্রোল রুমের দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. কামরুল কিবরিয়া জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে আরও ১৮২জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।  এর মধ্যে ঢাকায় ১৪৩ জন ও ঢাকার বাহিরে  ৩৯জন ভর্তি হয়েছে। এ নিয়ে চলতি বছরের পহেলা জানুয়ারি থেকে গতকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত মোট হাসপাতালে ভর্তি ২০ হাজার ৫১৮ জন। চিকিৎসা শেষে হাসপাতাল ছাড়ছে ১৯ হাজার ৫২২ জন। আর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছে  ৮০জন।  এখনো বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি আছে ৯১৬জন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. দেবব্রত বণিক বলেন,শিশুদেরকে দিনের বেলায় বাসায় প্রটেকশান দেয়া ঠিকমত হচ্ছে না। এ কারনে শিশুরা ডেঙ্গুজ্বরে বেশী আক্রান্ত হচ্ছে। আর গরমেও তারা মৌসুমী সর্দি ,কাশিতে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুরা যাতে আক্রান্ত না হয় তার জন্য সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নেয়া  দরকার।  তা হলে শিশুরা নিরাপদ থাকবে।

কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা বলেন, থেমে থেমে বৃষ্টির কারনে ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার উপদ্রব কমছে না। নির্মাণাধীন ভবনের ছাদেসহ বিভিন্ন স্থানে পানি জমে থাকে। ওই পানিতে এডিস মশার প্রজনন হচ্ছে। ভাইরাস বহনকারি এডিস মশা থেকে নতুন করে মশা বংশ বিস্তার ঘটলে ওই সব মশা ভাইরাস বহন করে। তাই মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা ছাড়াও পূর্ণাঙ্গ এডিস মশা নির্ধন করতে হবে বলে কীটতত্ব বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এডিস মশাসহ অন্যান মশা দমনে আলাদা বিভাগ রয়েছে।  ওই বিভাগ বছর জুড়ে মশা দমনে কাজ করেন। বাংলাদেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে আলাদা বিভাগ  চালু করা দরকার। আর আলাদা বরাদ্ধ বাড়িয়ে এডিসসহ অন্যান্য মশা দমন করা জরুরি। না হয় পরিস্থিতির আরও খারাপ হওয়ার আশংকা রয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/ইকে

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের