
মুখ এবং জিহ্বায় ঘা হওয়া সাধারণত ভিটামিন বি১২, ফোলেট (ভিটামিন বি৯), এবং ভিটামিন সি-এর অভাবে হতে পারে। এসব ভিটামিনের অভাবে শরীরের কোষ পুনঃনির্মাণে সমস্যা দেখা দেয়, যার ফলে মুখের গহ্বর এবং জিহ্বায় ঘা হতে পারে। এছাড়া, আয়রন, জিঙ্ক এবং ভিটামিন ই-এর অভাবও মুখের ঘা তৈরি করতে পারে।
ভিটামিন বি ১২ কোবলামিন নামেও পরিচিত। পানিতে দ্রবণীয় এই ভিটামিন রক্ত গঠন ও স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই ভিটামিন যেহেতু শরীর নিজে উৎপাদন করতে পারে না, তাই এটি বিভিন্ন খাদ্য উৎস থেকে গ্রহণ করতে হয়। ভিটামিন বি ১২ উদ্ভিদ ভিত্তিক খাদ্যে আবার পাওয়া যায় না।
এই ভিটামিনের অভাবে রক্ত স্বল্পতার সৃষ্টি হয়। একই সঙ্গে স্নায়ুতন্ত্রও সঠিকভাবে কাজ করতে পারে না। অনেক সময় ভিটামিন বি ১২ এর অভাবে দেখা দেওয়া উপসর্গ টের পান না অনেকেই। ফলে সমস্যা আরও বাড়ে।
চরম ক্লান্তি, মেজাজ পরিবর্তন, ত্বকের পরিবর্তন, পেটের সমস্যা, স্মৃতিশক্তির কমে যাওয়া ইত্যাদি সহ আরও গুরুতর অসুস্থতার লক্ষণ হতে পারে ভিটামিন বি ১২ এর ঘাটতিতে। শরীরে এই ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় পশুভিত্তিক বা সম্পূরক খাবার খেতে হবে।
ভিটামিন বি-১২ মূলত প্রাণিজ উৎস থেকে পাওয়া যায়। এখানে কিছু খাবারের তালিকা দেওয়া হলো যেগুলোতে ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ:
মাংস - গরু, মুরগি, ভেড়া, মটন ইত্যাদি।
মাছ - স্যামন, ট্রাউট, টুনা, সারডিন, ম্যাকারেল ইত্যাদি।
ডিম - ডিমের কুসুমে ভিটামিন বি-১২ থাকে।
দুধ ও দুধজাত পণ্য - দই, পনির, দুধ ইত্যাদি।
লিভার (গরু বা মুরগির) - লিভারে ভিটামিন বি-১২ অনেক বেশি থাকে।
শেলফিশ - ঝিনুক, স্ক্যালপ, ঝিনুক ইত্যাদি।
ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ শস্য - কিছু সঙ্গতি শস্য যেমন সিরিয়াল, পাউরুটি, সয়া মিল্ক ইত্যাদি ভিটামিন বি-১২ যুক্ত হয়ে থাকতে পারে।
যদি আপনি শাকাহারি হন বা ভিটামিন বি-১২ সমৃদ্ধ খাবার কম খান, তাহলে ভিটামিন বি-১২ এর অভাব পূরণের জন্য সাপ্লিমেন্টও নিতে হতে পারে।
এছাড়া, অল্প পরিমাণে খাবার খাওয়া, মানসিক চাপ, শারীরিক ক্লান্তি বা মুখের কোনো ইনফেকশনের কারণে এমন সমস্যা দেখা দিতে পারে।
অতএব, এই ধরনের সমস্যা এড়াতে পুষ্টিকর খাবার, ভিটামিন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ এবং পরামর্শ গ্রহণ করা জরুরি।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম