রোববার,

১৯ মে ২০২৪,

৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

রোববার,

১৯ মে ২০২৪,

৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

Radio Today News

ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ৫০ দেশে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:৫৮, ৫ মে ২০২৪

Google News
ইসরায়েল বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে ৫০ দেশে

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যা ও আগ্রাসনের বিরুদ্ধে মার্কিন শিক্ষার্থীরা প্রথমে  বিক্ষোভ শুরু করে, মাত্র কয়েকদিনের ব্যবধানে তা ছড়িয়ে পড়েছে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দেশে দেশে এমন বিক্ষোভকে খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন। এর মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও এর ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশগুলোর তরুণদের মধ্যে ইসরায়েলের আগ্রাসী কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা প্রকাশ পাচ্ছে।  

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে ইসরাইলবিরোধী এই আন্দোলন সহসাই থামছে না। বরং ইউরোপের আরও কিছু দেশে এই আন্দোলন মাথাচাড়া দিতে পারে। 
 
ফ্রান্সের সবচেয়ে নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম প্যারিসের সায়েন্সেস পো বিশ্ববিদ্যালয়।  এটা ছাড়াও প্যারিসের সরবন বিশ্ববিদ্যালয়ে এপ্রিলের শেষ দিকে গাজা যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভ শুরু হয়।

২৯ এপ্রিল সরবন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে বিক্ষোভকারীরা বলেন, সারা বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করছেন। আমরা বসে থাকতে পারি না। বিক্ষোভকারীদের ‘শেম’ ও ‘ফ্রি প্যালেস্টাইন’ স্লোগান দিতে দেখা যায়। লুইস নামের এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী বলেন, কলাম্বিয়া, হার্ভার্ড, ইয়েলসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁরা এ বিক্ষোভ করছেন।

সিডনি বিশ্ববিদ্যালয়েও প্রায় ৫০টি তাঁবু টাঙিয়ে অবস্থান নিয়েছেন যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকারীরা। সেখানে ১০০ জনের মতো বিক্ষোভকারী রাতেও অবস্থান করছেন। গতকাল শুক্রবার সেখানে পাল্টা বিক্ষোভের আয়োজন করে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিরোধিতা করে ইহুদি গোষ্ঠীগুলো, এতে ক্যাম্পাসে অহেতুক উত্তেজনার সৃষ্টি হচ্ছে। যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভকে ‘বর্ণবাদী’ ও ‘ইহুদিবিদ্বেষী’ বলে মন্তব্য করেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা পিটার ডুটন।

যুক্তরাষ্ট্রের পর  বর্তমানে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া ও এশিয়ার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শুরু হয়েছে ফিলিস্তিনপন্থী বিক্ষোভ। সিএনএন ও  মিডলইস্টআই এমন পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের বিরুদ্ধে দুর্নাম রটাতে নানা মিথের আশ্রয় নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। অনেকে এ বিক্ষোভকে ‘ছাত্র ইন্তিফাদা’ ও ‘আমেকিান বসন্ত’ বলে উল্লেখ করছেন। তবে বিভিন্ন ভাষ্যকররা ফিলিস্তিনিদের পক্ষের এই ঐতিহাসিক ও নজীরবিহীন  বিক্ষোভ আন্দোলনকে নানাভাবে অভিহিত করার চেষ্টা করছেন। এই বিক্ষোভ এখন বিশ্বের নজর কেড়েছে।

গত ১৭ এপ্রিল নিউইয়র্কের কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ফিলিস্তিনিদের সমর্থনে এবং গাজার জনগণের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে তাঁবুর শিবির স্থাপন করে বিক্ষোভ শুরু করে। এরপর বিশ্বের ৫০টি দেশের শতাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিক্ষোভের বিস্তার ঘটেছে। এমনকি ভারতের নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ চলছে।  

গাজায় ইসরায়েলি হামলায় প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন যার মধ্যে ১৩ হাজারই শিশু।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের