
আফগানিস্তানে তালেবান সরকারের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে উদ্যোগ নেওয়ার অংশ হিসেবে দেশটির নতুন রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করেছে রাশিয়া। এর মধ্য দিয়ে রাশিয়া বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে তালেবান সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দিলো। খবর আল জাজিরার।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, ‘আফগানিস্তানের ইসলামিক আমিরাত সরকারের স্বীকৃতি আমাদের দুই দেশের মধ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে গঠনমূলক দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতা জোরদারে সহায়ক হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’
তালেবানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি মস্কোর এই সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী পদক্ষে’ হিসেবে অভিহিত করে বলেন, "এই সিদ্ধান্ত অন্যদের জন্যও উদাহরণ হয়ে থাকবে। স্বীকৃতির যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে রাশিয়া সবাইকে ছাড়িয়ে গেছে।’
যুক্তরাষ্ট্র আফগান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিলিয়ন ডলারের সম্পদ এখনও জব্দ করে রেখেছে। এছাড়া তালেবানের শীর্ষ নেতাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে। ফলে দেশটির ব্যাংকিং খাত আন্তর্জাতিক আর্থিক ব্যবস্থার সঙ্গে কার্যত বিচ্ছিন্ন।
২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করে, যখন যুক্তরাষ্ট্রের সেনারা সেখান থেকে প্রত্যাহার করে নেয়। তখন থেকেই মস্কো তালেবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে পদক্ষেপ নিচ্ছে। তারা তালেবানকে ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক অংশীদার এবং সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে সম্ভাব্য মিত্র হিসেবে দেখছে।
২০২২ ও ২০২৪ সালে রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গে আয়োজিত অর্থনৈতিক ফোরামে তালেবান প্রতিনিধিরা অংশ নেয়। ২০২৩ সালের অক্টোবরে তালেবানের প্রধান কূটনীতিক রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেন।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসে রাশিয়ার সুপ্রিম কোর্ট তালেবানকে ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে যে অ্যাখা দেওয়া ছিল, তা প্রত্যাহার করে নেয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ল্যাভরভ তখন বলেছিলেন, ‘কাবুলে নতুন সরকার এখন বাস্তবতা। রাশিয়ার উচিত একটি বাস্তববাদী ও অরাজনৈতিক নীতি গ্রহণ করা।’
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম