শুক্রবার,

০৪ জুলাই ২০২৫,

২০ আষাঢ় ১৪৩২

শুক্রবার,

০৪ জুলাই ২০২৫,

২০ আষাঢ় ১৪৩২

Radio Today News

ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় হিমাচলে ৬৯ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৭

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮:৫১, ৪ জুলাই ২০২৫

Google News
ভারী বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় হিমাচলে ৬৯ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ ৩৭

ভারতের হিমাচল প্রদেশে কয়েকদিন ধরে টানা ভারী বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা ও ভূমিধসে কমপক্ষে ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সঙ্গে ৩৭ জন নিখোঁজ, এবং ১১০ জন আহত হয়েছেন। 

শুক্রবার (৪ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করে মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু বলেন, বর্ষাকাল শুরু হওয়ার পর থেকে ১৪টি পৃথক ক্লাউডবার্স্ট (মেঘভাঙ্গা বৃষ্টি) ঘটেছে। এতে পানীয় জল প্রকল্প এবং বিদ্যুৎ সরবরাহের ওপর বড় প্রভাব পড়েছে।

আগামী ৭ জুলাই, সোমবার পর্যন্ত রাজ্যের সকল জেলায় ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, রাজ্য সরকার দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে থাকবে এবং সংবাদ সংস্থা এএনআই’র বরাত দিয়ে প্রত্যেক পরিবারকে ভাড়ার সহায়তা হিসেবে ৫ হাজার রুপি দেওয়া হবে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত মান্ডি জেলায় অব্যাহত উদ্ধার এবং ত্রাণকাজ চলছে।

সকালে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বর্ষাকালের ক্ষতিগ্রস্ত হিমাচল ছাড়াও গুজরাট ও রাজস্থানসহ অন্যান্য রাজ্যগুলো-এর জন্য সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

অমিত শাহ বলেন, আমি গুজরাট, হিমাচল, রাজস্থান, উত্তরাখণ্ড ও ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলেছি। যথাযথ সংখ্যক এনডিআরএফ (ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স টিম) মোতায়েন করা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও সাহায্য পাঠানো হবে। কেন্দ্রীয় সরকার থেকে সর্বোচ্চ পরিমাণে সাহায্য নিশ্চিত করেছি।

বর্ষাকাল ২০ জুন হিমাচল প্রদেশে প্রবেশ করে এবং প্রতিবারের মতো এবারও রাজ্যে ব্যাপক বিধ্বংস ঘটিয়েছে। সাম্প্রতিক তথ্য অনুযায়ী, শুধুমাত্র মান্ডি জেলায় ১৪ জনের বেশি মৃত, কাংলাতে ১৩, ছাম্বাতে ৬, এবং শিমলাতে ৫ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে খবর পাওয়া গেছে।

মান্ডির সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা হলো থুনাগ ও ব্যাগসায়েড, যা সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী নেতা জৈরাম ঠাকুর-এর নির্বাচনী এলাকার অন্তর্গত। এছাড়াও কারসগ ও ধরমপুর এলাকায় ব্যাপক ধ্বংসের খবর পাওয়া গেছে ।

এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র মান্ডি জেলায় ৪০ জনেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন ।

মৃত্যুর খবর এসেছে বিলাসপুর, হামিরপুর, কিন্নাওর, কুলু, লাহুল-স্পিতি, সিরমৌর, সোলান ও উনা জেলা থেকেও। রাজ্যব্যাপী ১০০+ মানুষ আহত হয়েছেন ।

শতাধিক বাড়িঘর ধ্বংস ও ১৪টি সেতু ধসে গেছে । এছাড়াও প্রায় ৩০০টি গবাদিপশু মারা গেছে, যার মধ্যে ১৬৪টি গরু রয়েছে।

রেডিওটুডে নিউজ/আনাম

সর্বশেষ

সর্বাধিক সবার কাছের