
ইরান বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে নিজস্ব অস্ত্র উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে বলে দাবি ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহর। তবে কোন কোন দেশে এসব কারখানা গড়ে তোলা হয়েছে, তা প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন তিনি। খবর ইরান ইন্টারন্যাশনালের।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নাসিরজাদেহ বলেন, 'আমরা কয়েকটি দেশে অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছি। তবে আপাতত সেসব দেশের নাম ঘোষণা করব না।' তিনি আরও জানান, ইরান দীর্ঘদিন ধরে ক্ষেপণাস্ত্র উন্নয়নকেই সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। তবে ইসরায়েলের সঙ্গে সাম্প্রতিক যুদ্ধের অভিজ্ঞতার পর সেই অগ্রাধিকার কিছুটা বদলাতেও পারে।
ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, যেসব দেশে এই কারখানা নির্মাণ করা হয়েছে, সেগুলোর নাম খুব শিগগিরই প্রকাশ করা হবে। একইসঙ্গে তিনি জানান, গত এক বছরে ইরান নতুন ধরনের ওয়ারহেড সফলভাবে পরীক্ষা করেছে। এসব ওয়ারহেড আধুনিক ও চলাচলক্ষম, যা দেশটির সামরিক সক্ষমতাকে আরও শক্তিশালী করবে।
নাসিরজাদেহ মন্তব্য করেন, 'যদি জুন মাসের সংঘাত ১৫ দিন ধরে চলত, তাহলে ইসরায়েলি বাহিনী আমাদের কোনো ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হতো না। এ কারণেই শেষ পর্যন্ত ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতিতে যেতে বাধ্য হয়।'
তিনি আরও জানান, সাম্প্রতিক সংঘাতে ইরান তাদের সর্বাধিক নিখুঁত অস্ত্র ‘কাসেম বাসির’ ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করেনি। গত মে মাসে উন্মোচিত এই মাঝারি পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রটির পাল্লা প্রায় ১,২০০ কিলোমিটার। এতে উন্নত নির্দেশিকা ও প্রতিরোধ ক্ষমতা যুক্ত করা হয়েছে, যা এটিকে আরও কার্যকর করে তুলেছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম