
ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী পীযুষ গোয়েল জানিয়েছেন, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে আমেরিকার প্রতিনিধিদের সঙ্গে ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের আলোচনা চলছে।
তবে এই আলোচনা কতদূর এগিয়েছে এবং শুল্ক নিয়ে আমেরিকা এখন কী চাইছে–সে ব্যাপারে তিনি কিছু জানাননি। এমনকি প্রতিনিধিদের মধ্যে কারা রয়েছেন–সেটিও তিনি উল্লেখ করেননি।
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য জানান তিনি।
বার্তা সংস্থা রয়টার্স বলছে, ভারতের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরই মধ্যেই এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এ ছাড়া রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার কারণে ভারতের ওপর আরও ২৫ শতাংশ শুল্কারোপ করেন তিনি। মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক নিয়ে এবার আলোচনা করছে দুই দেশ।
গত আগস্ট থেকে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক টানাপোড়েন শুরু হয়েছে ভারতের। এই টানাপোড়েনের প্রধান কারণ ভারতের ওপর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অতি উচ্চমাত্রার রপ্তানি শুল্ক আরোপ।
ভারত ও আমেরিকার মধ্যে যে বাণিজ্য সংক্রান্ত আলোচনা শুরু হয়েছে, তার ইঙ্গিত গতকাল সোমবারই দিয়েছিলেন ট্রাম্প। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় তিনি বলেছিলেন, আমেরিকার সঙ্গে টানাপোড়েন মেটাতে সম্প্রতি সব ধরনের মার্কিন পণ্যের ওপর ধার্যকৃত শুল্ক শূন্যে নামিয়ে আনার প্রস্তাব দিয়েছে ভারত।
ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লিখেছেন, ‘ভারত এখন শুল্ক শূন্যে নামানোর প্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু অনেক দেরি হয়ে গেছে। কয়েক বছর আগেই ওদের এটা করা উচিত ছিল। দুই দেশের সম্পর্ক এতদিন ধরে একতরফা বিপর্যয় ছাড়া আর কিছুই নয়।’
রাশিয়ার তেল কিনে ভারত ইউক্রেন যুদ্ধ টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করছে বলে অভিযোগ ট্রাম্পের। ভারতের পক্ষ থেকে এই কঠোর শুল্ক আরোপের পর প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। তবে শুল্ক কমানো নিয়ে ট্রাম্পের সাম্প্রতিক মন্তব্যে দিল্লি এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তবে এর আগে ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, উচ্চ শুল্কের হুমকির মুখে অন্যান্য দেশ আমেরিকাকে বিশাল অর্থনৈতিক ছাড় দিতে রাজি হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম