
বিশ্বখ্যাত পরিবেশকর্মী গ্রেটা থুনবার্গ বলেছেন, যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারকে গাজায় গণহত্যা বন্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার আইনি দায়িত্ব পালন করতে হবে। সুইডিশ এ মানবাধিকার প্রবক্তা বলেন, আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে যাদের আইনি দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসার কথা, তারা তা না করায় বিশাল শূন্যতা তৈরি হয়েছে।
গাজা অভিমুখে ত্রাণবহর নিয়ে দ্বিতীয় দফা ভ্রমণকালে গ্রেটা থুনবার্গ দ্য গার্ডিয়ানকে এসব কথা বলেন। গতকাল রোববার ব্রিটিশ গণমাধ্যমটি এ-সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
চলতি সপ্তাহে লন্ডনে ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হার্জোগের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে কিয়ার স্টারমারের। এর আগে গত বুধবার ইসরায়েলের প্রসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাৎ না করতে নিজ দলের এমপিরা তাঁকে অনুরোধ করেন। এ প্রেক্ষাপটে স্টারমারের উদ্দেশে এক বার্তায় থুনবার্গ বলেন, ‘ইতিহাসের ভুল দিকে দাঁড়িয়ে থাকা ও যুদ্ধাপরাধকে সমর্থন করা বা সংঘটিত করা লোকদের জন্য আমরা যেসব শব্দ ব্যবহার করি, সেগুলো এখন বিদ্যমান নেই; সেই কথা এখন নেই। তবে আমরা স্টারমারের মতো লোকদের প্রতি সেগুলো ব্যবহার করব।’
গ্রেটা বলেন, বিশ্বজুড়ে মানুষ ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে যা ঘটছে, তা নিয়ে ‘জেগে উঠছে’; একটি ‘সরাসরি সম্প্রচারিত গণহত্যা দেখতে’ অস্বীকার করছে। আমরা সারাবিশ্বে বেসামরিক নাগরিকদের এগিয়ে আসতে দেখেছি। কিন্তু যাদের এগিয়ে আসার আইনি দায়িত্ব রয়েছে, তাদের বিরাট অনুপস্থিতি রয়েছে। ক্ষমতায় থাকা এসব ব্যক্তি ও সরকারের আইনি দায়িত্ব রয়েছে গণহত্যা প্রতিরোধে কাজ করার ও বর্ণবাদী শাসনকে সমর্থন না করার।
ব্রিটেনের ১০ ডাউনিং স্ট্রিট এটা নিশ্চিত করেনি যে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট হার্জোগের সঙ্গে দেখা করতে চান কিনা। যুক্তরাজ্য সরকারের এক মুখপাত্র বলেন, ‘প্রথম দিন থেকেই এ সরকার স্পষ্ট করে বলেছে– আমাদের অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, হামাসের হাতে আটক সব জিম্মির মুক্তি, বেসামরিক নাগরিকদের আরও ভালো সুরক্ষা নিশ্চিত করা, গাজায় ধারাবাহিক ও উল্লেখযোগ্যভাবে আরও বেশি সাহায্য পাঠানো ও দীর্ঘমেয়াদি শান্তি-স্থিতিশীলতার পথ দেখতে হবে।’
গত মাসে জাতিসংঘ নিশ্চিত করে যে, গাজায় আইনি সহায়তা অভিযানে শত শত কর্মী গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার সঙ্গে যোগ দিচ্ছেন থুনবার্গ। সেখানে বেসামরিক নাগরিকরা ‘ক্ষুধার্ত’ অবস্থায় আছেন। গত জুনে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক জলসীমা থেকে ম্যাডলিনের ১২ সদস্যের ক্রুর সঙ্গে গ্রেটাকে অপহরণ করে। কিন্তু তিনি না থেকে আবারও গাজার উদ্দেশে রওনা করেছেন। দেখা যাক দ্বিতীয় অভিযানে গ্রেটা সফল হন কিনা।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম