
সুদানে একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭৮ জন নিহত হয়েছেন। শুক্রবার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের এল-ফাসের শহরে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় বিবিসি।
প্রতিবেদনে দেশটির এক জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকের বরাতে বলা হয়, সুদানের দারফুর অঞ্চলে একটি মসজিদে ড্রোন হামলায় ৭০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
বিবিসি জানায়, এল-ফাশার শহরে হামলার জন্য আধাসামরিক বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) কে দায়ী করা হয়েছে, তবে দলটি এখনও দায় স্বীকার করেনি। আরএসএফ এবং সেনাবাহিনী দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে লিপ্ত।
স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক গ্রুপ ‘ইমার্জেন্সি রেসপন্স গ্রুপ’ জানায়, আবু সোউক ক্যাম্পের মসজিদে এ হামলা হয়। যা রাজধানী দারফুরের উত্তর দিকে অবস্থিত। মসজিদের ধ্বংসস্তূপ থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
এল-ফেসার শহরটি গত ১৮ মাস ধরে আরএসএফের অবরোধের মুখে রয়েছে। যা সুদানের সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে থাকা দারফুরের শেষ অঞ্চল। ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়। যা পরবর্তীতে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধে রূপ নেয়।
ইয়েল বিশ্ববিদ্যালয়ের হিউমেনিটেরিয়ান রিসার্চ ল্যাব গতকাল বৃহস্পতিবার স্যাটেলাইট ছবি প্রকাশ করে। এতে দেখা যাচ্ছে আরএসএফের সেনারা ওই অঞ্চলটির চারদিক দিয়ে এগিয়ে আসছে। যারমধ্যে আবু সোউক ক্যাম্প এবং ইউনিমিডের শান্তিরক্ষী বাহিনীর ঘাঁটি রয়েছে। এটি এখন আরএসএফ বিরোধী যৌথ বাহিনীর ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থা জানিয়েছে, চলমান এ গৃহযুদ্ধে গণহত্যাসহ অন্যান্য ভয়াবহ অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম