
মাদাগাস্কারে চলছে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ। এ বিক্ষোভে এবার আদেশ অমান্য করে যোগ দিয়েছে সৈন্যদের কিছু অংশ। এমন প্রেক্ষাপটে প্রেসিডেন্ট আন্দ্রে রাজোয়েলিনার শাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করেছে।
কেনিয়া এবং নেপালের জেন-জি আন্দোলনে অনুপ্রেরিত হয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর মাদাগাস্কারে বিক্ষোভ শুরু হয়। শনিবার (১১ অক্টোবর) বিক্ষোভকারীরা প্রথমবারের মতো রাজধানীতে প্রবেশ করে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য স্টান গ্রেনেড এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করলে সৈন্যরা ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় উল্লাসের মাধ্যমে সেনাদের স্বাগত জানানো হয়।
২০০৯ সালে রাজোয়েলিনার উত্থানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী অভিজাত ক্যাপস্যাট ইউনিটের সৈন্যরা বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করেছে।
সোয়ানিয়েরানা জেলার ঘাঁটির সৈন্যরা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা একটি ভিডিওতে বলেছেন, 'আসুন আমরা আমাদের বন্ধু, ভাই এবং বোনদের গুলি করার জন্য অর্থ গ্রহণ করতে অস্বীকার করি।'
ভিডিওতে বিমানবন্দরে সৈন্যদের সমস্ত বিমান উড্ডয়ন বন্ধ এবং অন্যান্য শিবিরে থাকা সৈন্যদের 'গুলি করার আদেশ' প্রত্যাখ্যান করার আহ্বান জানানো হয়।
তরুণ-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনে শনিবারের বিক্ষোভগুলো কয়েক দিনের মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল। মূলত বিদ্যুৎ ও পানির ঘাটতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে জন্ম নেওয়া এই আন্দোলন বৃহত্তর সরকারবিরোধী প্রচারণায় রূপান্তরিত হয়।
এদিকে, সশস্ত্র বাহিনীর নবনিযুক্ত মন্ত্রী সৈন্যদের ‘শান্ত থাকার’ আহ্বান জানিয়েছেন। এক সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী জেনারেল ডেরামাসিনজাকা মানান্তসোয়া রাকোতোয়ারিভেলো বলেন, 'আমরা আমাদের ভাইদের - যারা আমাদের সঙ্গে একমত নন, তাদের সংলাপকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।'
এদিকে, পুলিশের সহিংসতার ভিডিওগুলো সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে। একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিরাপত্তা বাহিনী একজনকে ধাওয়া করে এবং প্রচণ্ড মারধর করার পর তাকে মাটিতে অচেতন অবস্থায় ফেলে দেয়।
গত শুক্রবার জাতিসংঘ কর্তৃপক্ষকে অপ্রয়োজনীয় বলপ্রয়োগ থেকে বিরত থাকতে এবং অবাধ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে সংস্থাটি জানিয়েছে, মাদাগাস্কারে চলমান বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ২২ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছেন।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম