
৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসের এমসিকিউ ধরনের লিখিত পরীক্ষা শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১০ অক্টোবর) সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া এ পরীক্ষা চলবে বেলা ১২টা পর্যন্ত। পরীক্ষাটি অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকা কেন্দ্রের ১৮৪টি কেন্দ্রে। তিন লাখেরও বেশি প্রার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন।
পিএসসি জানিয়েছে, এবারের বিশেষ বিসিএসে মোট আবেদন পড়েছে তিন লাখ ১২ হাজারের কিছু বেশি। ৬৮৩টি শূন্যপদের বিপরীতে গড়ে প্রতি পদে প্রায় ৪৫৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
মূলত, দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষক সংকট থাকায় গত ২১ জুলাই এই বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে পিএসসি। আবেদন প্রক্রিয়া চলে ২২ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত।
সাধারণ প্রার্থীদের জন্য ফি নির্ধারণ করা হয় ২০০ টাকা এবং ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা। বয়সসীমা ছিল ২১ থেকে ৩২ বছর।
বিশেষ বিসিএসে সাধারণ বিসিএসগুলোর মতো প্রথমে প্রিলিমিনারি পরীক্ষা নেওয়া হয় না। সরাসরি লিখিত পরীক্ষা হয়।
তবে সেটি এমসিকিউ টাইপের প্রশ্নপত্রে ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের ১০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হয়।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সরকারি সাধারণ কলেজে বিভিন্ন বিষয়ে প্রভাষক নেওয়া হবে ৬৫৩ জন এবং সরকারি শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ৩০ জন। সর্বাধিক শূন্যপদ রয়েছে বাংলা বিভাগে—৬১টি। এরপর রাষ্ট্রবিজ্ঞানে ৫৫টি, ইংরেজিতে ৫০টি, অর্থনীতিতে ৪০টি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে ৩২টি, দর্শন ও রসায়নে ৩০টি করে পদসহ অন্যান্য বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হবে।
রেডিওটুডে নিউজ/আনাম